বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর শনিবার দুপুরে রংপুরে সমাবেশ করছে দলটি।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে নগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়।
গণসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত হয়েছেন।সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও উপস্থিত হয়েছেন।
এছাড়া সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ডা. এ জেড জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ কেন্দ্রীয়, রংপুর বিভাগীয় ও জেলা এবং রংপুর নগরের নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। সমাবেশে বিএনপির স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
গণসমাবেশে যোগ দিতে আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানে করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।মিছিল আর স্লোগান উত্তাল নগরীতে পরিণত হয়েছে রংপুর। কালেক্টরেট মাঠ ছাপিয়ে গণসমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে।
এদিকে, শুক্রবার ভোর থেকে চলছে পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা বাস ধর্মঘট। ধর্মঘট চললেও বিভাগের আট জেলা বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক বাস ভাড়া করে এবং ট্রেনযোগে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।