পানির অপর নাম জীবন! এ কথা সবার জানা থাকলেও অনেকেই মানেন না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক পানির চাহিদা ৩-৪ লিটার। অনেকেই নানান কারণে দৈনন্দিন পানির এই চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। দীর্ঘদিন এমনটি চলতে থাকলে একসময় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।
শরীর থেকে অনেকটা পানি ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এ কারণে দিনে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়। এটি পরবর্তী সময়ে শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতে পারেন না, যে তিনি পানিশূন্যতায় আক্রান্ত। যখন এই সমস্যা গুরুতর হয়, তখন বুঝতে পারেন। এতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এই পানিশূন্যতার কারণে কিডনি বিকলও হতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাবে ইনফেকশনের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতার লক্ষণ
মাথাব্যথা
কোষ্ঠকাঠিন্য
দুর্বলতা ও ক্লান্তি
শুষ্ক ত্বক
জয়েন্টে ব্যথা
ওজন বেড়ে যাওয়া
রক্তচাপ কমে যাওয়া
প্রস্রাবে সংক্রমণ
কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
যেভাবে বুঝবেন পানিশূন্যতায় আক্রান্ত
পানিশূন্যতায় ভুগছেন কি না, তা ঘরোয়া উপায়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই বোঝা যায়। স্কিন টার্গর বা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষার মাধ্যমে এটি সহজেই জানা যায়।
এজন্য হাতের উপরের চামড়ায় দুটি আঙুল দিয়ে চিমটি দিয়ে যতটা সম্ভব চামড়া টেনে ধরুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চামড়া টেনে ধরে তারপর ছেড়ে দিন। এবার খেয়াল করে দেখুন ত্বকের রং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কি না!
যদি স্থানটি ফ্যাকশে হয় আর ত্বকের রং স্বাভাবিক হতে সময় লাগে, তাহলে বুঝবেন আপনি পানিশূন্যতায় ভুগছেন। আর যদি ত্বকের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি নেই।
পানির ঘাটতি পূরণে করণীয়
আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা কিংবা বারবার পানির পিপাসা বোধ করেন, তাহলে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করুন। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত তরল পান করুন। আর খেয়াল রাখুন প্রস্রাবের রং পরিষ্কার আছে কি না। যদি বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।