বই উৎসবে পুরো সেট পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

বই উৎসবের দুই মাসেরও কম সময় বাকি থাকলেও এখনও শুরু হয়নি প্রাথমিক পর্যায়ের বই ছাপানোর কাজ। দেরিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই ছাপা শুরু হলেও লোডশেডিং আর কাগজ সংকটে চলছে ধীরগতি। মুদ্রণ সমিতির দাবি, কার্যাদেশ দিতে এনসিটিবির বিলম্ব আর ভুল পাণ্ডুলিপির কারণেই এই হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এর ফলে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পুরো সেট বই পৌঁছানো কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলছেন প্রেস মালিকরা। তবে এনসিটিবি বলছে, বছরের প্রথম দিনই বই পাবে চার কোটি শিক্ষার্থী।

বছরের প্রথম দিন কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বিশ্বেরেকর্ড সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এবারও প্রাথমিক, ইবতেদায়ি ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ছাপানো হবে ৩৫ কোটি বই।


প্রতিবছর আগস্টে ছাপার কাজ শুরু হলেও এবার এখনও শুরুই হয়নি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই চাপার কাজ। প্রেসের দাবি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কার্যাদেশ দিতে দেরি করাই কারণ। দু-মাস দেরিতে অক্টোবরে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাপার কাজ শুরু হলেও লোডশেডিং এবং কাগজ সংকটে কাজে নেই সন্তোষজনক অগ্রগতি।

মুদ্রণ সমিতি বলছে, এনসিটিবি এখনও কয়েকটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিই দিতে পারেনি। তাই বছরের প্রথম দিন কোনোভাবেই এসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ফলে পুরো সেট নয়, হাতে গোনা দু-একটি বই দিয়েই সারতে হবে বই উৎসব।

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন বই হচ্ছে। এই বইগুলোতে অসংখ্য ভুল ছিল। সে কারণে নতুন করে আসতে সময় লেগেছে।


তবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পরিস্থিতি। তবে সেটা কেটে গেছে। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, পহেলা জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে।

তবে নিম্নমানের কাজের জন্য কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান নাম বদলে আবারও কাজ পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও নির্বিকার এনসিটিবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *