শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এদেশের মানুষের অগ্রগতি চায় না উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এভাবে এগিয়ে গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে।
ফারুক খান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি জামায়াত দেশব্যাপী যে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব রটানোর চেষ্টা করছে তা আপনাদের বন্ধ করতে হবে। সঠিক তথ্য জানাতে হবে। কোনোভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অগ্রগতি তা যেন বিএনপি জামায়াতের গুজব, মিথ্যাচারে থমকে না যায়। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এখনই ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন করে নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান ফারুক খান।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মো. মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. ইলিয়াস আহম্মেদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি, উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জানানো হবে বলে কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থল ত্যাগ করেন।
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও অনিবার্য কারণবশত কমিটি ঘোষণা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে টঙ্গী পূর্ব থানার সভাপতি পদে ১২ জন ও সম্পাদক পদে ২৬ জন এবং পশ্চিম থানার সভাপতি পদে ৭ জন এবং সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন।
এদিকে প্রায় ১৯ বছর পর আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে গত কয়েক দিন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। দুপুরের আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। পুরো সম্মেলনস্থল ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পদপ্রত্যাশীদের তোরণ, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায়।
এর আগে ২০০৩ সালে সর্বশেষ টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।