1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ইফতার-সেহরিতে কী খাবেন রোজায় কম দামে মাছ মাংস দুধ ডিম মিলবে যেখানে শনিবার দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের এফডিসিতে কাজের পরিবেশ ফিরে আসুক: শাকিব খান ২০২৪ সালে টিকটকে আয়ের নতুন সুযোগ এবার ঈদে চমক দেখাবেন বুবলী ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে যে নতুন কৌশল নিচ্ছে বিএনপি শাকিব যেভাবে খেলছে খেলতে থাকুক: ওমর সানী বিপাকে পড়েছেন নিপুণ প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক বিভ্রাটের শিকার ৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন মেহের আফরোজ চুমকি চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ অনুষ্ঠিত ভ্রমণে নামাজ যেভাবে পড়বেন

শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

  • Update Time : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩৩ Time View
3d rendering of antibiotic pills over white background

* শীতের শুরুতে ও শেষে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায় কেন?

** এ ঠান্ডা তাপমাত্রায় কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে। শিশুর শরীরও তাপমাত্রার হঠাৎ এ পরিবর্তন অর্থাৎ ওঠা-নামা অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। ফলে শিশুর দেহে পরিবেশগত কিছু পরিবর্তন হয় এবং জীবাণুগুলো রোগ বিস্তার করে। ধুলাবালি বেড়ে যাওয়ার কারণেও এ সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় হাঁচি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ছাড়াও ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিওলাইটিস রোগ ছড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। ঠান্ডা বাতাস নাক দিয়ে ঢুকে এখানকার পাতলা পর্দা বা ঝিল্লি যাকে মিউকাস মেমব্রেন বলে, তা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে রক্তনালির সংকোচন ঘটে, ফলে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও বাড়ে।

* এ লক্ষণ বা রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক করণীয় কী?

** সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, গলা ব্যথার সঙ্গে শিশুর শ্বাসের গতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বুকের পাজরের নিচে দেবে যাচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে। শ্বাসের হার প্রতি মিনিটে ২ মাসের নিচের বাচ্চাদের ৬০-এর বেশি হলে, ২-১২ মাসের বাচ্চার ৫০-এর বেশি এবং ১-৫ বছরের বাচ্চার ৪০-এর বেশি হলে শিশুর নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়েছে ধরা যায়। এ অবস্থায় ঘরোয়া চিকিৎসা না দেওয়াই ভালো। শ্বাসের হার স্বাভাবিক ও ঠান্ডা-কাশি থাকলে ছোট বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কুসুম গরম পানি, লেবু পানি, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, শরীর স্পঞ্জ করে মুছে দিতে হবে, ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে এমন রুমে শিশুকে রাখতে হবে এবং জনসমাগম হয় এমন জায়গা যেমন মার্কেট, কোনো অনুষ্ঠান, বাস-ট্রেন স্টপেজে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। এন্টি হিস্টামিন ওষুধ খেতে পারে। এরপরও সংক্রমণ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* এক্ষেত্রে কোনো ধরনের এন্টি অ্যালার্জিক ও কফ সিরাপ ব্যবহার করা যায়?

** কিছু কফ সিরাপ আছে যা কফ সাপ্রেসেন্ট বা কফ দমিয়ে রাখে। কিছু আছে কফ এক্সপেকটরেন্ট বা কফ বের করে দেয়, কিছু আছে কফ হওয়ার তীব্রতা কমিয়ে দেয়, কিছু আছে সিডেটিভ অর্থাৎ তন্দ্রালুতা সৃষ্টি করে কফ কমায়। গভীর, তীব্র কফে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যবহার করা ভালো। যদি নাক দিয়ে পানি পড়ে তাহলে ক্লোরোফেনারমিন ম্যালিয়েট, সেট্রিজিন ব্যবহার করা হয়। নাক পরিষ্কারের জন্য নাকের ড্রপ দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের কুসুম গরম পানি দিয়ে নরমাল স্যালাইন ড্রপ দেওয়া ভালো। বাচ্চার বুক পরীক্ষা করে এন্টি হিস্টামিন দেওয়া ভালো।

* অনেক শিশু দীর্ঘমেয়াদে খুসখুসে কাশিতে ভুগে। এক্ষেত্রে করণীয় কী?

** এটি সাধারণত অ্যালার্জিক কফ। ডাস্ট ও কোল্ড অ্যালার্জি এবং ঘাম থেকে হয়। তাই ঘাম যেন না হয় এবং ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি বুকে স্পাজম বা ঘরঘর শাঁই শাঁই আওয়াজ থাকে তাহলে নেবুলাইজেশন, ইনহেলার দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের স্পেসারের মাধ্যমে নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়। বড় বাচ্চাদের ইনহেলার ব্যবহার করতে বলি। তবে দীর্ঘমেয়াদি কাশির কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস, যক্ষ্মা কিংবা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এ সমস্যা হতে পারে।

* শ্বাসতন্ত্রের রোগে ভুগে এমন শিশুদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কেন?

** নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দিলে শিশুর কিছু উপকার হয়। প্রতি বছর নভেম্বরে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া হয়।

* শীতে শিশুদের ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথার সমস্যা হলে কী করবে?

** ২ বছরের নিচের বাচ্চারা রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ায় ভোগে। এডেনোভাইরাস বা অন্যান্য ভাইরাস দিয়েও শীতকালীন ডায়রিয়া হয়। এ জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খেতে হয়। ১ বছরের নিচের বাচ্চাদের লো অসমোলার ওরস্যালাইন বা নিওস্যালাইন দেওয়া ভালো। ১ বছরের বেশি বাচ্চাদের রাইস স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। ডায়রিয়া হলেও বাচ্চারা বুকের দুধ খাবে। জিঙ্ক ওষুধ খেতে পারে। সঙ্গে ফলিক এসিডও দেওয়া হয়। এ ডায়রিয়া সাত দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ৭ দিনের বেশি ডায়রিয়া থাকলে সে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে বলে ধরা হয়।

* শ্বাসতন্ত্রের ও পেটের এই সমস্যায় কখন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়?

** ঠান্ডার সঙ্গে যদি প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বৃদ্ধি ও সঙ্গে নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় এবং সর্দি যদি ঘন হয়ে পুঁজের মতো হয় ও সাদা রং পরিবর্তিত হয় তখন এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তিন দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি বাড়লেও এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়। হঠাৎ করে পানির মতো পাতলা পায়খানা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়। এছাড়াও পেট খারাপ জিয়ারডিয়াসিস ও কলেরার জন্য হয়। শীতে কলেরা কম হয়। এছাড়া ইয়ারসিনিয়া এন্টারেকোলিটিকায় পেট খারাপ হয়। ইনভেসিভ ডায়রিয়া অর্থাৎ পায়খানার সঙ্গে রক্ত ও আম যাওয়া, পেটে প্রচণ্ড মোচড় দিয়ে ব্যথা হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মনে করে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

* এখন শিশুদের ডেঙ্গির ও কোভিডের সংক্রমণ কেমন হচ্ছে?

** কোভিড এখন বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। ডেঙ্গির তীব্রতা ও সংক্রমণও কমের দিকে। ডিসেম্বরে যেহেতু বৃষ্টি হয় না তাই ডেঙ্গির পরিমাণও কমে যাবে। বাচ্চা কিছুই খেতে পারছে না, প্রচুর বমি হচ্ছে, হঠাৎ বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, রক্তচাপ ও পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হলে, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, হার্টের গতি বেড়ে গেলে, খিঁচুনি হলেও অতি দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে এবং ডেঙ্গিজ্বর হয়েছে কিনা দেখতে হবে। কোনো শিশুকে স্বাভাবিক দেখাচ্ছে কিন্তু তার পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে তাহলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন।

* শিশুর ত্বকের যত্নে কী করা যায়?

** গোসল করানোর আগে হালকা রোদে কিছুক্ষণ রেখে ওয়েল ইমালশন লাগিয়ে গোসল করানোর পর লোশন দেওয়া যায়। যে শিশুর ত্বক অতি সংবেদনশীল ও অ্যালার্জিক তাদের এন্টি অ্যালার্জিক লোশন দেওয়া হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকালে প্রচুর পানি, তরল, শাক-সবজি ও ফল খেলে ও মেডিকেটেড ময়েশ্চারাইজার লাগালে উপকার মেলে।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com