ইন্দোনেশিয়ায় কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ১০

প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আনুমানিক ১৪ জন চাপা পড়েছিল।

স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, ‘মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’

সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চারজন চাপা পড়লেও বেঁচে গেছেন বলেও জানান তিনি।

খনিটি সরকারের অনুমতিক্রমেই তথা বৈধভাবেই কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে খনিজ-সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে প্রায়ই খনি দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে লাইসেন্সবিহীন পরিত্যক্ত স্থানে যথাযথ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার না করেই কাজ করার ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বোর্নিও দ্বীপে একটি খনিতে ভূমিধসে অন্তত সাতজন মারা যান। এছাড়াও এপ্রিলে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে একটি অবৈধ সোনার খনিতে ১২ খনিশ্রমিক ভূমিধসে নিহত হয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাসের মূল্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে আপাতত জ্বালানি পণ্য দুটির ব্যবহার কমাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বিকল্প হিসেবে কয়লার ব্যবহারে ফিরে যাচ্ছে অনেকেই। এতে কয়লার চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে তারা। চাহিদা বাড়ায় এর দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিক্কেই এশিয়ার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন মতে, কয়লা বেচে ফুলেফেঁপে উঠছে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি। এরই মধ্যে উৎপাদনও বাড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারক দেশটি। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরিচালক রাফলি জান্দা জানিয়েছেন, গত মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইতালিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার টন কয়লা রফতানি করেছে তারা।

রাফলি জান্দা আরও বলেন, জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভালো দামে কয়লা বিক্রি করতে বাজার প্রক্রিয়াধীন করার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটিবিএ। জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ১৫.৯ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করেছে বুকিত আসাম। ২০২১ সালের একই সময়ের যা ২০ শতাংশ বেশি।

ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা উৎপাদক কোম্পানি বুমি রিসোর্সও উৎপাদনও বাড়িয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *