পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিদেশি প্রভাব কিংবা অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র জাতীয় নির্বাচন অর্থাৎ সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
ADVERTISEMENT
নির্বাচন নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকে সরকার সফল হতে দেবে না। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির উপস্থিত ছিলেন।
ড. আবদুল মোমেন বলেন- নির্বাচন নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকে সরকার সফল হতে দেবে না। দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বিদেশি প্রভাব বা অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের গুমের ঘটনার ভুল তথ্য উপস্থাপন করায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশ রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। আমরা ভোটের অধিকার রক্ষায়ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করেন। ড. মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোনো এনজিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তাদের অনেক তথ্য সঠিক নয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জনগণ ভোটেই ঠিক করবে বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষা করতে পেরেছে কিনা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের চর্চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই মানবাধিকার নিশ্চিত হয়।
আনিসুল হক বলেন, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি ফোকাস করছে সরকার। এ লক্ষ্যে অনেক উদ্যোগও নিয়েছে। আমরা মানবাধিকার রক্ষা ও কল্যাণে সচেষ্ট।
মানবাধিকারকে মূল্য দিই বলেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষায় মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রচারণার বিপক্ষে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে মানবাধিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে।
বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবেই মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দারিদ্র্য হ্রাস, শিশুশ্রম নির্মূল, সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকার সচেষ্ট।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭৬টি গুম নিয়ে অভিযোগ করেছে। এর মধ্যে ১০ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। আর একটি অভিযোগ ২৮ বছরের পুরোনো, যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল না।