আফরোজা সিদ্দিকা রোজা, একজন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার এবং লরাটোর চেয়ারম্যান, বিশ্বব্যাপী একটি বাংলাদেশী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের বিলাসবহুল ডিজাইনার গাউনের কারণে আমরা সারা বিশ্বে সুপরিচিত।
গত দুই বছর ধরে লোরাটো বাংলাদেশ ও ইউরোপে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ থেকে কাজ করছে। এই সময়ে, লোরাটো সফলভাবে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ইতালি, পর্তুগাল এবং তুরস্কের মতো দেশে ফ্যাশন শো এবং পণ্য বিক্রয় করেছে।
লোরাটো আবার তুরস্কে যাচ্ছেন ইস্তানবুল ফ্যাশন সংযোগ ২০২৩-এ অংশ নিতে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় রেডি-টু-ওয়্যার এবং ফ্যাশন ফেয়ার, ৮-১১ ফেব্রুয়ারিতে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং আগস্টে এই প্রদর্শনীতে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য লোরাটো এর আগে ইস্তাম্বুলে রেডি-টু-পরিধান শৈলী প্রদর্শন করেছিলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে, লোরাটো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন এক্সিবিশন-এ যোগ দেবেন। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে আসবেন। একজন একক ফ্যাশন ডিজাইনার প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। লোরাটো প্রথমবারের মতো এই বিশাল আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারা নির্দিষ্ট করেছে যে তারা অর্গানিক মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি পোশাক চায়। এই লক্ষে, লোরাটো রেশম সিল্কের একটি গাউন তৈরি করবেন। লোরাটো কথোপকথনের সময় এই সিল্কের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে এর বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেছেন। তারা অবাক হয়েছিলেন যখন তারা এই ফ্যাব্রিকটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন এবং লোরাটোকে এটি এবং বাংলাদেশ এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে বলেছিলেন, যাতে ভবিষতে তারা এই শিল্পটিকে এর আগের গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার রোজা স্বদেশ নিউজ২৪কে- আজকের অনুষ্ঠানটি হল বাংলাদেশে লোরাটোর দুই বছরের সাফল্য উদযাপন করার জন্য, এই সময়ে যারা আমাদের সাথে কাজ করেছেন তাদের সম্মানিত করার জন্য। লোরাটো আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে এবং বাইরের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায় যারা যেকোনো স্তরে সহায়তা করেছে ।
এখন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু আমরা আমাদের কোম্পানিকে সমগ্র ইউরোপে প্রসারিত করছি, আমরা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডন থেকে কাজ করব। আমরা শীঘ্রই তুরস্ক এবং পর্তুগালে শাখা খুলতে চাই। আমরা বিশ্ব মঞ্চে একটি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করি। আমাদের লক্ষ্য এই বহুজাতিক বাংলাদেশী কোম্পানিকে বিশ্ব ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।