ভারতের হেমপ্রভা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের তরুণ লেখক তৌফিক মিথুন

বাংলা ভাষাভাষী তরুণ সাহিত্যিকদের মধ্যে ভারতের হেমপ্রভা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য পুরষ্কার বেশ জনপ্রিয়। এবারের হেমপ্রভা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মাননা ২০২২ বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ লেখক তৌফিক মিথুন। দুই বাংলার অসংখ্য লেখার মাঝে তিনি তাঁর লেখা উপন্যাস ‘মায়া’র মায়াবী জাদুতে জিতে নিয়েছেন এবারের সাহিত্য সম্মাননা।

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বজবজ,কলকাতায়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা ভাষাভাষী অসংখ্য নবীন-প্রবীন শিল্পমনা মানুষ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গৌতম দাশগুপ্ত (চেয়ারম্যান- বজবজ পৌরসভা), সন্দ্বীপ চৌধুরি (প্রেসিডেন্ট-ক্যালকাটা মিডিয়া ইন্সটিটিউট), মলয় দাশগুপ্ত (তথ্যচিত্র নির্মাতা), দেবরাজ মুখার্জী (টাটা স্টিল), প্রবীর কুমার মিত্র (চিফ লিগ্যাল এডভাইজার-সিইএসসি লিমিটেড)

আলোচ্য অনুষ্ঠানে নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় ভারতীয় ‘অঙ্গন নাট্য সংস্থা-বজবজ’কে । এছাড়াও আবৃত্তিতে পুরস্কৃত হয়েছেন ভারতের মৌসুমী আদক এবং মৌসুমী সরকার। উপস্থিত সবাই বাংলাদেশ এবং ভারতের সাহিত্য-সংষ্কৃতির এমন মেলবন্ধন নিয়মিত দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে তৌফিক মিথুন বলেন, ” ভারতের জনপ্রিয় হেমপ্রভা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্প- সাহিত্য- সংস্কৃতি সম্মাননা পুরষ্কারের বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলী, দুই বাংলার অসংখ্য লেখার ভীড়ে এ বছর সাহিত্য বিভাগে আমাকে নির্বাচিত করায় আমি অনেক আনন্দিত। আশা করব ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ – ভারতের এই মেলবন্ধন অটুট থাকবে এবং বাংলাদেশের আরো অনেক তরুণ লেখক এই পুরষ্কারটি জিতে নিবেন।

যারা দুই বাংলার সমকালীন লেখালেখির খোঁজ খবর রাখেন, তারা জানেন, তরুণ লেখকদের কাছে এই পুরষ্কারটি ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের একজন লেখক হিসাবে এই অর্জন আমাকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রানিত করবে। ভবিষ্যতের পথচলায় সাহস যোগাবে। আমার কাছে দেশের পতাকা সবসময়ই আবেগের, ভালোবাসার। যে অর্জনে দেশের পতাকা ওড়ার সুযোগ তৈরি হয়, একজন বাংলাদেশি হিসাবে সেই অর্জন সর্বদাই গৌরবের।

গৌরবের এ যাত্রা যেন দীর্ঘ হয়। দেশের পতাকার মান যেন উজ্জ্বল রাখতে পারি। সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।”

আমরাও লেখককে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনার লেখার জন্য বাংলাদেশের পতাকা উড়ুক আরও অনেকবার। দেশের জন্য বয়ে আনুক মর্যাদা। শুভ কামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *