ষ্টাফ রিপোর্ট
রোববার দুপুরে উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মনিয়া খানম ওই গ্রামের খোরশেদ খার মেয়ে। তার মা নারগিস বেগম বলেন, রোববার (২৬মার্চ) সকাল আনুমানিক ১০টার সময় তিনি মেয়েকে ঘরে রেখে একটি বিশেষ কাজে বাড়ি থেকে বের হন, দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দুটি দরজা ভিতর দিয়ে আটকানো একটি দরজা খোলা, তিনি খোলা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তার মেয়ের গলায় ওড়না প্যাচানো আড়ার সাথে ঝুলন্ত লাশ। তা দেখে সাথে সাথে লাশটি নামিয়ে বিলাপ দিয়ে কান্না করেন।কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। নিহতের মাযের দাবী তার মেযেকে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছেন। সংবাদ পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি সুরতহাল করে মর্গে প্রেরণ করেন। এছাড়াও পুলিশ ওই লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেন, যাতে লেখা রয়েছে তোমাকে কথা দিলাম সে দিন ভুলে যাবো, যে দিন দেহ থেকে নিঃশ্বাসটা বের হয়ে যাবে, এমন কথাটি একাধিকবার লেখা রয়েছে। চিরকুটের শুরুতেই প্রিয় লেখাটাকে কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে মা বাবা লেখা হয়েছে। নিহতের মা নারগিস বেগম আরও বলেন, একই বাড়ির মনির মাঝির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে, ঘটনার আগের দিন বিরোধের জের ধরে তাদের ঘরের চালার টিন খুলে ফেলেছে এবং হুমকি ধামকি দিয়েছিলো। শত্রুতার জেরে মনির মাঝি তার মেয়েকে মেরে থাকতে পারে বলে জানান নিহতের মা। এ বিষয়ে মনির মাঝি বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে মনিরের বাবা কাঞ্চন মাঝি বলেন, তার ছেলে সকাল আনুমানিক ১০টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছে এখনও ফিরেনি, নিহতের পরিবারের সাথে বিরোধ নেই বলেও জানান তিনি। নিহত মনিয়া স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ির লোকজন জানান মৃত্যুর কিছুক্ষন পূর্বে মনিয়া বাড়ির একজনের মুঠোফোনের মাধ্যমে তার মায়ের সাথে কথা বলে জানতে চান বাড়ি ফিরবে কখন, ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত লাশ। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। রহস্যজনক মৃত্যুর পোস্টমর্টেম’র রিপোর্ট হাতে পেলেই খুলবে জট। তবে স্থানীয়দের মতে এটি রহস্যময় মৃত্যু। হে আল্লাহ শোকাহত মাকে শোক সইবার তৌফিক দেও।