সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনা নিহত রুক্কুমিয়া ওরফে মো. রুপ মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের একটাই দাবি প্রিয়জনের মরদেহ যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল। রুপ মিয়ার বাবা, তার স্ত্রী-সন্তানদের কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। তাদের দেখতে আশপাশের মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
স্বজনরা জানান, জীবিকার তাগিতে ধার-দেনা করে গত সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে সৌদির উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ওমরপুর গ্রামের রিকশাচালক মো. রুপ মিয়া। সৌদিতে পৌঁছার পর বিকেলে ওমরা করার উদ্দেশে মক্কা যাওয়ার পথে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আভা জেলায় আগাবত শার নামক তাকে বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ সময় বাসটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগায় বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার রুক্কুমিয়া ওরফে মো. রুপ মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ভোরে সেখানকার এক স্বজনের মাধ্যমে রুপ মিয়ার দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ওমরপুর গ্রামের পরিবারের কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।
নিহতের স্ত্রী মাসুমা আক্তার ও শিউলী আক্তার জানান, অন্তত ৭ লাখ টাকা ধার দেনা করে পরিবারের সুখের জন্য সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। যাওয়ার আগে বলেছিলেন, কাজে যোগ দেয়ার আগেই ওমরাহ সেরে নেবেন। এর মধ্যে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনদের একটাই দাবি, প্রিয়জনের মরদেহটি যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
নিহত রুক্কুমিয়া ওরফে মো. রুপ মিয়ার পরিবারে স্ত্রীসহ দুই ছেলে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।