কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ভূঞারহাট চৌ-রাস্তায় অবস্থিত জিয়াউল উলুম মাদ্রাসার ৩শত ৫০জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা যায়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মোঃ সিরাজ উল্যাহ ও তার পাশবর্তী মোঃ ইসমাইল হোসেন সবুজের সাথে খরিদীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সিরাজ উল্যাহ নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিকট গত ০৫/০৪/২০২৩ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা তদন্ত শেষে বাদী পক্ষকে তাদের নিজস্ব জমিতে নির্মাণাধীন ২য় তলা টিন শেড ঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাদীর নিজ উদ্যোগে করলে বিরোধটি নিস্পত্তি হবে এ মর্মে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী ইসমাইল হোসেন সবুজ এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদী সিরাজ উল্যাহ ও তার ভাই মোঃ রাসেলকে বিবাদী করে গত ১১/০৪/২০২৩ইং তারিখে একটি পিটিশন মামলা দাখিল করেন। স্থানীয় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু নাঈমের মধ্যস্থতায় এ বিষয়ে সমাধান করা চেষ্টা করা হলে বিবাদী ইসমাইল হোসেন সবুজ সাড়া দেয় নাই। ফলে এ জিয়াউল উলুম মাদ্রাসার ৩শত ৫০শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হুমকি মধ্যে পড়েছে।
সরেজমিনে যাচাই বাছাই করে জানা যায়, বিবাদী ইসমাইল হোসেন সবুজের নিকট খরিদীয় সম্পত্তির বাহিরেও অতিরিক্ত সম্পত্তি তার দখলে আছে। খরিদীয় সম্পত্তির পরিমাণ উভয় পক্ষের সমান হারে ০৭.৬৬ শতাংশ ক্রয় করা হলেও সবুজের নিকট অতিরিক্ত সম্পত্তি রয়েছে। বাদী সিরাজ উল্যাহ নিকট সম্পত্তি কম রয়েছে।