এম আর অভি,বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে ধর্ষণ মামলার বাদী ও তাঁর পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা চেয়ে বরগুনা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন ও বুধবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী মো. নিজাম মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মামলার বাদী নিজাম মোল্লা বলেন, গত ২৭ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে পাশের বাড়ির টিউবয়েল-এ পানি আনতে যায়। এ সময় পাশের বাড়ির বখাটে মো: সাগর ওরফে মহিবুল্লাহ্ তার সহযোগিদের নিয়ে একটি মোটরসাইকেল যোগে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আমি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও মেয়ের সন্ধ্যান পাইনি। পরের দিন ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাই এবং উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে বিষপান করেছে। এরপর পটুয়াখালী ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মেয়ে সুস্থ্য হয়। তারপর মেয়ের কাছ থেকে শুনতে পারি, আসামী সাগর ওরফে মহিবুল্লাহ্ তার সহযোগিদের নিয়ে তাকে অপহরন করে গভীর রাতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পানি পান করতে চাইলে, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আসামীরা কোমল পানীয় কিছুর সাথে আমার মেয়েকে বিষ পান করান। এরপর মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যান।
এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আমি বাদী হয়ে মামলার দায়ের করি। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি)তে প্রেরণ করেছেন। এদিকে মামলা করার পর আসামীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি আমার মেয়েকে মাদ্রাসায় যেতে দিচ্ছেনা এবং আমাকেও রাস্তায় চলাচল করতে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। তাই এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো: বশির আহমেদ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। যতদ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষে আদালতে সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নিজাম মোল্লাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানিয়েছেন। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়েছি। তিনি সাধারণ ডায়েরি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।