এই বাড়ি একদিন আমারও শেষ গন্তব্য হবে’

চিত্রনায়িকা পরীমনির একমাত্র অভিভাবক হিসেবে বেঁচে ছিলেন নানা শামসুল হক গাজী। গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
প্রিয় নানাকে হারিয়ে বিষাদের সাগরে ডুবে আছেন পরী। কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না নানার মৃত্যুশোক। ঘুরেফিরে নানার কবরের পাশে গিয়েই বসে থাকেন। সেখান থেকেও উঠে আসতে ইচ্ছে করে না পরীমনির।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে নানার কবরের পাশে বসে থাকা কিছু ছবি প্রকাশ করে এই নায়িকা বলেন, ‘এর আগে যতোবার নানু বাড়ি গেছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই একদিন বেশি থেকে যেতে বললেও থাকা হয়নি। আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’

নানার কবরে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছেন পরীমনি। সেই গাছে পানি দেওয়া অবস্থায় নিজের উপলব্ধিও প্রকাশ করেছেন তিনি। খুব সহজেই বললেন, ‘এই বাড়ি (কবরকে ইঙ্গিত করে) একদিন আমারও শেষ গন্তব্য হবে!’

প্রিয় নানা ভাইয়ের চাদরটা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন পরী। এই নায়িকা চান, একদিন সন্তান পদ্মকে চাদরটি পড়িয়ে দেবেন। পরীমণির ভাষায়, জীবনের আসা যাওয়ার মধ্যে এই মায়াটুকুই তো সব।

প্রসঙ্গত, পরীমনির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *