সূত্রমতে জানা যায় শাকিল আহমেদ, পিতা-শরিফুল ইসলাম (সুইডেন প্রবাসী), গ্রাম-হোগলা দাঁড়াবাজ, থানা-গোমস্তাপুর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ গত ২০১৯ সালে তার বাবার মাধ্যমে সুইডেনে যায় । সেখানে সে কলেজে পড়াশোনা কালে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সেখানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন বিষয়টি তার বাবা মা প্রথমে গোপন করলে ও ধীরে ধীরে আত্মীয় থেকে প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী জেনে যায়। এক পর্যায়ে দাদা আত্মীয় এস এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা ও ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে শাকিল এর মা সাবিহা বেগমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনাটি সত্য। তিনি বলেন তার স্বামী ও এক ছেলে সুইডেনে থাকে। ছেলে সুইডেন কলেজে পড়াশোনা কালে ২০২২ সালের মাঝামাঝির দিকে সেখানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। প্রথমে ভয়ে সে কাউকে জানাইনি । পরবর্তীতে তার এক নিকট আত্মীয় সেও সুইডেন প্রবাসী দেশে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ও এলাকাবাসী তাকে ও তার ৮ বছরের ছেলেকে খুব খারাপ ভাষায় গালি গালাজ করে ও বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং বলে বাড়ি থেকে বের না হয়ে গেলে তাদের জানে মেরে ফেলবে বলে জানায়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যান জানলে উনার ও তাদের সাপোর্টে দেয়। পরে ভয়ে বাধ্য হয়ে তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন. তিনি বলেন সুইডেনে তার স্বামী ও ছেলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তার পাসপোর্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন তার শশুর এলাকার লোকেরা হুমকি দিয়েছে তার ছেলে শাকিলকে পেলে জানে মেরে ফেলবে এবং তাকে তার স্বামী সন্তান কে ওই গ্রামে ঢুকতে দেবে না । তার স্বামী গত ৭/১২/২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে আসার জন্য বিমানের টিকিট কাটলেও শেষ মুহূর্তে এ কথা শুনে ভয়ে দেশে আসিনি। সাবিহা বেগম জানান তিনি ভয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।