রোজায় কম দামে গরু, খাসি, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ ও মাছ বিক্রি করবে সরকার। রাজধানীর ৩০টি জায়গায় পুরো রমজান মাসে এসব বিক্রি করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে রোববার সকালে খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রোজায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এই পদক্ষেপ। আশা করি, এটি রমজান মাসে বাজারে মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
রোজার প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে ২৮ রোজার দিন পর্যন্ত এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে সোমবার থেকে মাছ বিক্রি শুরু হয়ে চলবে ১৫ রোজা পর্যন্ত।
ভ্রাম্যমাণ পিকআপে ঢাকার পাঁচটি কাঁচাবাজার সংলগ্ন স্থান এবং এর বাইরে আরও ২৫টি জায়গায় এগুলো পাওয়া যাবে। তবে মাছ বিক্রি হবে শুধু আটটি জায়গায়। প্রতিদিন আড়াই টন খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কেজি করে মাছ কিনতে পারবেন।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এই কর্মসূচিতে তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হবে।
রুই ১৪০, পাঙ্গাস ১৩০, তেলাপিয়া ১৩০, পাবদা ৩৩০, ফিস ফিলেট (রেডি টু কুক) ৩৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা মহানগরের আটটি জায়গায় মিলবে।
নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল। এ ছাড়া মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার) বাজার সংলগ্ন পয়েন্টেও ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে এগুলো বিক্রি হবে।
মাছ পাওয়া যাবে কেবল ফার্মগেট (বঙ্গবন্ধু চত্বর), মিরপুর-১ (ইদগাহ মাঠ), সেগুনবাগিচা বাজার, মেরুল বাড্ডা বাজার, মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার), যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট), মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে) ও পলাশী মোড়ে। প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে ফ্রিজিং পিকআপ বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে যাবে। বিক্রি শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। পিকআপের পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে বিক্রি।
এই কার্যক্রম তদারকির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি মাঠে থাকবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি।