বর্তমানে শাকিব খানের সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকেন না বুবলী। ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শাকিব খানকে বিয়ে করেন বুবলী। দুই বছর পরে অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চে জন্ম হয় ছেলে শেহজাদ খান বীরের। যদিও দুই বছর সে কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন শাকিব-বুবলী। ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আনেন ছেলের কথা।
তার কয়েক মাস পরই হঠাৎ বুবলীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন শাকিব। যদিও বুবলীর দাবি, তারা সময় নিচ্ছেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু, মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী, এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে। অপু বিশ্বাস অভিনেতার প্রথম স্ত্রী। শোনা যায়, অপু থাকাকালীনই বুবলীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান শাকিব।
তার পর একপ্রস্ত কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে। প্রকাশ্যে শাকিবকে দোষারোপ করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু কিছু সময় পেরোতেই ফের শাকিবের প্রশংসা বুবলীর কণ্ঠে। সম্প্রতি বুবলী জানালেন, তার জীবনে শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ঈদ পূর্ববর্তী দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান বুবলী। যেখানে এই নায়িকাকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আগামী দিনগুলো কী এভাবেই কাটিয়ে দিবেন কি না?
জবাবে বুবলী বলেন, ‘আমি এভাবেই কাটিয়ে দিব। এ বিষয়ে ভাবতে একবিন্দুও সময় নিব না। আমার সন্তানই এখন সবকিছু। কোনো প্রেম, সম্পর্ক কিছুই আমার কাছে ঘেষতে পারবে না। আগামীতে চলচ্চিত্র, সন্তান, পরিবার সেসবেই সময় দিব।’
উপস্থাপক তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, যখন নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ হবে তখন কী এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে? নতুন কোনো সম্পর্ক বা বিয়ের বিষয়ে ভাববেন না?
বুবলীর সাফ উত্তর, ‘এই সিদ্ধান্ত কখনোই বদল হবে না। আমি যখন নায়িকা থাকবো না, তখনও না। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মনে হয়, আমি এভাবেই থাকব। এভাবেই চলতে চাই।’
শাকিব ব্যতীত জীবনে অন্য কোনো পুরুষের জায়গা নেই বলেও জানান বুবলী। এই নায়িকা বলেন, ‘শাকিব খানকে ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না। বুবলীর জীবনে রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দিবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে।’