সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। এ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছর থেকে অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসা করে আসছেন তনি। পাশাপাশি নানা ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন তিনি।
এবার শোরুমে গুলিস্তানের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করে নতুন করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন তনি। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্যের ঝড় বইছে।
এদিকে অভিযোগ আর প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই অভিযোগকারীকে সঙ্গে নিয়ে লাইভে আসলেন তনি। সম্প্রতি তার ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি কতটুকু সত্য তা সবার কাছে খোলাসা করতেই লাইভে আসার সিদ্ধান্ত নেন এই ব্যবসায়ী।
তনি বলেন, পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে না ধরে মনগড়া আর রসালো শিরোনামে আমাকে একরকম হয়রানি করার উদ্দেশ্যে কিছু সাংবাদিক ভুয়া নিউজ তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যিনি প্রতারণার অভিযোগ দিয়েছিলেন এই লাইভে আমি তাকে নিয়ে এসেছি। অ্যাডভোকেট লুবনা আপা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে প্রতারণার অভিযোগ করেন; কিন্তু কেন করেন তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু নিউজ পোর্টাল খবরে ভুল তথ্য ছড়িয়ে আমার ব্যবসার পরিচিতি ও সুনাম নষ্ট করেছে।
লাইভে তনি দাবি করেন, অভিযোগকারী লুবনা প্রথমে আমাদের ব্যবসার ফেসবুক পেজে তার অভিযোগের কথা জানান; কিন্তু এর কোনো রিপ্লাই আমার অফিসের স্টাফ দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ায় আর অভিযোগের রিপ্লাই না আসায় লুবনা আপা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় আমি বলব- আপনারা জানেন না, একটা ব্যবসায়িক পেজে ক্রেতাদের রিপ্লাই দিতে কতজন লোক কাজ করেন। আমার এ ব্যবসায় ৫০ জন নিযুক্ত আছেন। যাদের একজন ডিউটিতে থাকা অবস্থায় আপার অভিযোগ গুরুত্ব দেননি। আর আমিও মালিক হিসেবে বিষয়টি জানি না।
এদিকে গত সোমবার তনির শোরুমে অভিযান শেষে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কয়েকজন ভোক্তার কাছে অভিযোগ পাই যে তনির শোরুমে পাকিস্তানি ড্রেস (পোশাক) অনলাইনে বিক্রি করে কিন্তু তারা ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। সেগুলো পাকিস্তানি নামে বিক্রি করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করা হয় শুনানির জন্য, তবে তিনি আসেননি।
তিনি আরও বলেন, তাই আমরা অভিযানে আসতে বাধ্য হয়েছি। তবে অভিযানে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শোরুমটি সিলগালা করে দিয়েছি। এরপর পোশাক আমদানির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর থেকে অনলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তনি। এর কিছু দিনের মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের শোরুম গড়েন তিনি।