সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রোবাইয়াত ফাতেমা তনি গত কয়েক বছর ধরে অনলাইন ও অফলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসা করছেন। এর মাধ্যমে রাতারাতি হয়ে উঠেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। পাশাপাশি নানান ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন তনি।
এবার শোরুমে গুলিস্তানের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করে নতুন করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন তনি। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজনরা। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্যের ঝড় বইছে।
জহরা ফাতেমা চৌধুরী নামের একজন তনির সমালোচনা করে লেখেন, ‘সত্যি বলে বিজনেস করতে কী সমস্যা। দুই টাকা বেশি লাভের জন্য কেন মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। অনেকেই আছে যারা দেশি প্রোডাক্ট ইন্ডিয়ান বলে বা ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট পাকিস্তানের বলে বা বাংলাদেশ থেকে বানিয়ে পাকিস্তানি বলছে। এভাবে কেন বিজনেস করতে হবে।’
একে আযাদ নামের আরেকজন লেখেন- ‘পাকিস্তানের পণ্যের নামে গুলিস্তানের/দেশি কাপড় বিক্রি…মানুষের সঙ্গে প্রতারণা তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
এর আগে ভোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুলিশ প্লাজায় সানভিস বাই তনি শোরুমে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় পাকিস্তানের কোনো চালান বা আমদানির কাগজপত্র দেখাতে পারেনি শোরুমটি।
মূলত কয়েকজন ভোক্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয় তনিকে। তিনি এ কথায় কর্ণপাত করেননি। পরে বাধ্য হয়ে এ অভিযান চালায় সংস্থাটি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, শোরুমে পোশাকের পাশাপাশি অবৈধভাবে বিভিন্ন কসমেটিকসও বিক্রি করা হতো।
তনির শোরুম অভিযান শেষে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন ভোক্তার কাছে অভিযোগ পেয়েছি, তারা পাকিস্তানি ড্রেস (পোশাক) অনলাইনে বিক্রি করে কিন্তু তারা ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। সেগুলো পাকিস্তানি নামে বিক্রি করে আসছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করা হয় শুনানির জন্য, তিনি আসেননি। তাই আমরা অভিযানে এসেছি, অভিযানে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর পোশাক আমদানির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।