সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সময় চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন করে তার হাজিরার দিন ২৩ জুন ধার্য করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে, বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ক্রোক করা সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এরপর দুদক তার সম্পদের অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম গঠন করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানেই বেনজীর পরিবারের প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য নিশ্চিত হয় অনুসন্ধান টিম।
এরপর আদালতের মাধ্যমে এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়। তলব করা হয় বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে। আরেক মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় তাকে তলব করা হয়নি। ৬ জুন বেনজীর ও ৯ জুন তার স্ত্রী-সন্তানের হাজিরের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ অবস্থায় বেনজীর পরিবারের অতি গোপনে দেশত্যাগের তথ্য সামনে আসে। অজ্ঞাত স্থান থেকেই ৫ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে সময় চান বেনজীর। এ আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ২৩ জুন বেনজীরের দুদকে হাজির হওয়ার নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়েদের দুদকে হাজির হওয়ার দিন ধার্য আছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বেনজীর ও তার স্ত্রী সন্তানের ক্রোক করা সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করেন। সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শিগগিরই তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে, ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। এগুলোর মধ্যে রাজধানীর গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, সাভারের একটি জমি ছাড়াও মাদারীপুরের ১১৪টি দলিলের সম্পত্তি রয়েছে। এর আগে ২৩ মে ৮৩টি দলিলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। সেই সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও তার সিকিউরিটিজের (শেয়ার) টাকা স্থগিত করা হয়েছে।