অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের আগের রায়ের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ যেমন আছে, তেমন থাকবে। কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যেসব সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কোটা থাকছে না।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা করেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত সরকারি চাকরিতে কোটা থাকছে না। বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কোটা নিয়ে রিটকারী পক্ষ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে বিশেষ চেম্বার আদালতে শুনানির আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্যে আজকের দিন ধার্য করেন। যেহেতু এখনও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়নি সে হিসেবে বিশেষভাবে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ বিষয়ে শুনানি মুলতবি করেন।
সেদিন আরজির পরিপ্রেক্ষিতে মুলতবিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছিলেন।