স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর সহজ উপায়

স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাটারি। আপনার স্মার্টফোনটি অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ অথবা আইফোন যাই হোক না কেন সবক্ষেত্রেই ব্যাটারি লাইফের গুরুত্ব সমান। দিন দিন যত দ্রুতগতির প্রসেসর ও হাই রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লে আসছে, ততই স্মার্টফোনে ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে। স্মার্টফোনে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি এলেও, ব্যাটারি প্রযুক্তিতে কোনো যুগান্তকারী পরিবর্তন আসেনি। এখনো প্রায় সব স্মার্টফোনেই থাকে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আর সেই কারণে এখনো স্মার্টফোন ব্যাটারি নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ করেন অনেকেই। যদিও কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। চলুন আজকে জেনে নিই কীভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায়.

‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’ বন্ধ করা

এ অপশন ডিভাইস লক থাকাবস্থায়ও স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচের স্ক্রিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখার সুবিধা দেয়। এটি বন্ধ করতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘লক স্ক্রিন’-এ ট্যাপ করে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে বন্ধ করে দিতে হবে।

ফোনের ‘ডার্ক মোড’ অন করা

ডার্ক মোডে কাজ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ে এবং চার্জও থাকে অনেকক্ষণ। ফোনের সেটিংস থেকে ডিসপ্লে অপশনে গিয়ে ডার্ক মোড অন করা যাবে।

‘অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি’ চালু করা

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি নামে একটি ফিচার আছে, যা প্রায় সব ফোনে পাওয়া যাবে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের কার্যক্ষমতা এবং কার্যকারিতা পরিচালনা করতে পারে, যা স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে প্রভাবিত করে। ফোনের সেটিংসের অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি অপশনে গিয়ে এটি অন করা যায়।

ডিসপ্লের ব্রাইটনেস ও স্ক্রিন টাইম সমন্বয় করা

কম্পিউটার বা ফোন যখন অলস সময় পার করে, তখন ডিসপ্লে নিজে থেকে বন্ধ হতে কিছুটা সময় নেয়। এটাই হলো স্ক্রিন টাইমআউট। ব্যাটারির সুরক্ষায় এ সময়টা কমিয়ে আনা যেতে পারে। সেটিংসের ডিসপ্লে অপশনে ঢুকে স্ক্রিন টাইমআউট এক মিনিটের নিচে অথবা সর্বনিম্নে নামিয়ে আনলে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়েও ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো যায়।

নোটিফিকেশন কমিয়ে আনা

নোটিফিকেশন ফোনের ব্যাটারিকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। বেশির ভাগ অ্যাপে নোটিফিকেশন সীমিত করার উপায় আছে। সে ক্ষেত্রে মেসেজ কিংবা ই-মেইলের মতো প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বাদ দিয়ে বাকি অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।
ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপস অপশনে ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নয়— এমন অ্যাপগুলো সিলেক্ট করে নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেওয়া যায়। এ ছাড়া ব্যাটারি অপশনে গিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজেস লিমিটস’-এ অব্যবহৃত অ্যাপগুলো ডিপস্লিপিং লিস্টে যুক্ত করা যেতে পারে। এর ফলে অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে না এবং ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।

‘হেই গুগল’ ডিটেকশন বন্ধ করা

ফিচারটি শব্দ শোনার জন্য ফোনের মাইক্রোফোনকে সক্রিয় রাখতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তাই গুগল অ্যাসিসট্যান্ট ফিচারটি খুব বেশি কাজে না লাগলে তা বন্ধ রাখাই ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে গুগল অপশনে ঢুকে ‘হেই গুগল অ্যান্ড ভয়েস মেসেজে’-এ গিয়ে এটি বন্ধ করা যায়।

ব্যবহৃত ওয়্যারলেস ফিচার বন্ধ করা

খুব বেশি ব্যবহার না হলে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ অথবা লোকেশন সার্ভিসের মতো ফিচারগুলো বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এতে করেও ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়া ব্যাটারি প্রটেকশন, ব্যাটারি সেভার ফিচারের মতো ফিচারগুলো ব্যবহার করেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি সুরক্ষিত রাখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *