বিসিবি সভাপতিকে নিয়ে যা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

সরকার পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে দেশের সব জায়গাতেই। প্রতিটা সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রির মতো ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বেশিরভাগ পরিচালকই এখনও রয়েছেন আড়ালে। বিসিবির সভাপতি ও সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সদস্য নাজমুল হাসান পাপনেরও খোঁজ নেই গত ৫ দিন ধরে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের বাইরে আছেন তিনি। শিগগিরই তার ফেরার সম্ভাবনাও নেই। এই অবস্থায় বিসিবির কী হবে, এ নিয়ে রয়েছে আলোচনা। এর মধ্যে দেশে গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বিসিবির কয়েকজন পরিচালক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিসিবির ভবিষ্যৎ কী হবে, এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। বিসিবিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল দেশগুলোর সরকার যখন ক্রিকেট বোর্ডে হস্তক্ষেপ করেছিল।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে দীর্ঘ দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। দলীয় নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই চলে গেছেন দেশের বাইরে। বিসিবির বর্তমান সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনও রয়েছেন সেই দলেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *