নিজস্ব সংবাদদাতা,সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অতম্ক ছড়ানো বক্তব্য দেওয়ার শাস্তি পেয়েছেন প্রভাবশালী নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। পুকুর দখলে নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন আকতার। এস আলমের গাড়ি নিজের কব্জায় নিতে শোকজ পেয়েছেন চট্টগ্রামের প্রভাবশালী নেতা।মারামারির অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। এভাবে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে কঠোর অবস্থানে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ছাত্র জনতার অভ্যুন্থানকে দলীয় সুবিধা ভোগিরা যেনো ম্লান না করে দেয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে কেউ কেউ ব্যক্তি সুবিধা নিয়ে ব্যাস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব তৈরি করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের ৪ নং ওয়ার্ড পুকুরপাড় গ্রামের মৃত কুদ্দুস খানের মেঝো ছেলে আশরাফ আলী খান ওরফে স্বপন । এলাকায় তিনি সন্ত্রাসী মাইগা স্বপন নামে পরিচিত। চাঁদাবাজী, রাহাজানি, কুটনামী, মারামারি,মামলাবাজি, সহ নানা অপরাধ কর্মের সাথে জড়িত এই স্বপন। হতদরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা কাপর ব্যবসায়ী স্বপন ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। অন্যের জমি জাল দলিল দিয়ে জোর করে দখল এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে মাইগা স্বপনের বিরুদ্ধে। গত ২০২০ সালের মহামারী করনার মাঝে পুকুরপাড়ের মৃত রওশন মিয়ার ছেলে আজম খানের জমি, স্বপন তার গুন্ডা বাহিনী মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করে। স্বপনের চাপাতির আঘাতে আজম খান মাথা গুরুতর আহত হন। ১৮ টি সেলাই দিয়ে ভর্তি করা হয় সিরাজগঞ্জ মনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতালে। এ নিয়ে একটি মামলা ও করা হয় সন্ত্রাসী স্বপন বাহিনীর বিরুদ্ধে। সে সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে বিপুল পরিমান দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
অনুসন্ধানে জানাযায় বদমেজাজী স্বপন কাপর ব্যাবসার সাথে যুক্ত ছিলো। এক সময় তিনি তাঁত শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তালতলার মনিরের সাথে ঢাকার গাওছিয়াতে ব্যবসা করতে গিয়ে চুরীর অপরাধে দোকান কমিটি তাকে বের করে দেন।
২০০৫ সালে নিজ দলের কর্মীদের সাথে মারামারিতে জরিয়ে বিএনপির সাধারণ সদস্য পদ হারান স্বপন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে ভোল পাল্টিয়ে হয়ে যান আওয়ামীগের সমর্থক। সুযোগ বুঝে স্বপন শাহজাদপুরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার আরিফের গাজীপুরের মাওনায় কনস্ট্রাকশন কারখানায় কেয়ার টেকারের কাজ নেন পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া স্বপন। গড়ে তোলেন আওয়ামী নেতাদের সাথে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা করে গড়েন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। কয়েক বছর চাকুরী করার পর অর্থ ও রড সিমেন্ট চুরীর অভিযোগে চাকুরী হারান স্বপন। টি ডিজাইন কোম্পানি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গোপনে শাহজাদপুরে এসে তৈরি করেন সন্ত্রাসী বাহিনী।
এমনকি সুযোগবুঝে নিজের বড় ছেলে জিহাদ খান শান্তকে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের মারুফ হোসেন সুনাম – নিয়ান মাহমুদ কমিটিতে ৫৭ নম্বর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন এই সুবিধাভোগী মাইগা স্বপন। নিজের ছোট ভাই মোকলেসুর রহমান মোগলকে যুক্ত করেন আওয়ামী পেশাজীবি পরিষদের সাথে। এখানেই শেষ নয় নারী লোভী
দু:চরিত্র স্বপনের রোসানল থেকে রেহাই পায়নী তার পাশের বাড়ির পীর বকশো প্রামাণিকের ছেলে আরিফের বউ সুমী খাতুন। আরিফ সৌদি প্রবাসী হওয়ায় তার সাথে গড়ে তোলের অবৈধ সম্পর্ক।স্বামীকে তালাক দেবার জোরপূর্বক বলও প্রয়োগ করেন। স্বপনের আপন চাচা পুকুরপাড় গ্রামের মৃত বাকা মিয়ার ৯ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টাও করে এই স্বপন। বর্তমানে শাহজাদপুর ফৌজদারি আদালতে স্বপনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। নাড়ী লোভী বাটপার সন্ত্রাসী স্বপনের জবনিকা এখানেই শেষ নয়, আপন বর ভাই মনসুর রহমান রঞ্জুর মৃত্যুর পর তার সকল সম্পত্তির ভাগ নিতে অবৈধ উপায়ে জোরপূর্বক তার মায়ের মাধ্যমে সম্পত্তি লিখে নেয় এই সন্ত্রাসী স্বপন। ভাতিজার চার তলা বিল্ডিং ও তাপস কাপরের আডত জোরকরে দখলের চেষ্টা চালায় তিনি।
পল্টিবাজ মাইগা স্বপন গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তন এর পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। নিজেকে ছাত্রদের আন্দোলনের লোক বলে পরিচয় দিচ্ছেন।
পৌরসভার আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহুর ও সাব্বিরের বাডিতে হামলা চালায় স্বপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী । ৬ আগস্ট সকালে আজিজের মোড়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসী স্বপন বাহিনী। আহত হয় হেলাল উদ্দিন সহ কয়েকজন। গত ১৭ আগস্ট মাইগা স্বপন তার ছোট ছেলে সিয়ামকে নিয়ে হামলা চালায় পুকুরপাড়ের কাপর ব্যবসায়ী আজাদের দোকানে। এরপর নিজের বাহিনী নিয়ে জমি জমা মাপার আমিনকে সাথে নিয়ে জোরপূর্বক অন্যর জমি দখলে নেবার চেষ্টা করে। বিএনপিতে অনুপ্রবেশ বা সুবিধাভোগী ঠেকাতে দল যখন কঠোর অবস্থানে সেখানে সকল সরকারের আমলে সুবিধা নেয়া স্বপন নিজের বাহিনী ভারী করতে আওয়ামিলীগের পাতি নেতাদের নিজের কাছে টানছেন।অওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের নির্যাতনে নেতারা যখন নিঃস্ব। ঠিক তখন টাকা খরচের মহা উৎসবে নেমেছেন স্বপন। শান্তিপুরের রুহুল আমিন জানান, স্বপন ভাই কোটি টাকার মানুষ ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন,ছোটবোন স্বপ্নাকে নিজ খরচে পাঠিয়েছেন কানাডায়। ছোট ছেলে সিয়ামকে পাঠানোর প্রসেসিং চলছে। ইসলামী বাংকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। গত ১৫ বছর নেতা কর্মীরা সব হারিয়েছেন আর স্বপন ভাই কামিয়েছেন। দলীয় সুবিধাভোগী, সুবিধাবাদী, অবৈধ টাকার মালিক স্বপনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চায় এলাকাবাসী।