বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় নিয়ে ঘাঁটি গড়েছে, এই অভিযোগ বারবার তুলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়েন তিনি। এবার সেই বিধানসভার ভোটে পরাজয় দেখছে বিজেপি।
ভারতের লোকসভা নির্বাচন ছয় মাসের মাথায় আরো দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনায় দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে দুরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভোটাররা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ অনুসারে, মহারাষ্ট্রে ২০০ এর বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির জোট। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে ক্রমেই ক্ষমতা দখলের দিকে এগোচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১টি আসন। এখানে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে ক্ষমতাসীন জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর ‘মহাজোট’-এর।
ফল গণনা শুরু হতেই প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও, সময় যত বাড়ছে ততই ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাসীন জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশনের)-এর ‘মহাজোট’-কে পিছনে ফেলে ৫০-টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
এই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার ৪১টি আসন। এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করে ফেলে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত ঝাড়খণ্ডে ফিরতে চলেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনই।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। এই জোটের বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) ও এনসিপি (অজিত) ‘মহাজুটি’ ২২৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এই জোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শারদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র (এমভিএ) জোটের। অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহাযুতি জোটের সঙ্গে বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোট এগিয়ে রয়েছে ৫৬ আসনে।
এই রাজ্যে মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে দরকার ১৪৫টি আসন।
এর আগে কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় দেখে বিজেপি। অবশ্য হরিয়ানায় তারা জয় পায়।