মুগ্ধ ও স্নিগ্ধকে নিয়ে বিভ্রান্তি, যা জানালো ফ্যাক্ট চেক

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর মৃত্যু নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যদিও ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে, মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ আলাদা ব্যক্তি, তারা যমজ ভাই।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুগ্ধর মৃত্যু নিয়ে একটি বিতর্কি ছড়িয়ে পড়ে। যেই পোস্টগুলোতে দাবি করা হয়, মুগ্ধ মারা যাননি, মুগ্ধ নামে কেউ নাকি ছিলেনই না। এমনকি মুগ্ধ-স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ, মানুষ একজনই।

মুগ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে সাপোর্টারস অব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামের একটি গ্রুপের পোস্টে লেখা হয়, ‘মুগ্ধর ডেডবডির ছবি কেউ দেখে নাই, মুগ্ধর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা, কবর কই?’

তবে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে, মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ আলাদা দুই ব্যক্তি। তারা দুজন যমজ ভাই।

রিউমার স্ক্যানার নিশ্চিত করেছে, মুগ্ধ এবং স্নিগ্ধ দু’জন একই ব্যক্তি নন, জমজ ভাই।

ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের একসঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি ও ভিডিওর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তারা।

এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুগ্ধকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিটি ভুয়া।

পেজটির এক পোস্টে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই, উত্তরার আজমপুরে বিক্ষোভকারীরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লে তিনি তাদের জন্য পানি ও খাবার নিয়ে ছুটে যান। মৃত্যুর ১৫ মিনিট আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি (মুগ্ধ) বিক্ষোভকারীদের পানির বোতল ও বিস্কুট বিতরণ করছেন। বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার আজমপুর মোড়ে রাস্তার পাশে থাকা অবস্থায় তাকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার কপাল ভেদ করে মাথার ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার মরদেহ উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *