কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের জনগণের ওপর যেভাবে জুলুম অত্যচার নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে, আপনারা কি গত ১৭ বছরের পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের নির্যাতন ভুলে যাবেন! ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই।
সোমবার দুপুরে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর রোড মাঠে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির এক কর্মিসভা ও রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি দেওয়া ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে আমাদেরকে যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যশা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের অনেক ভাইদেরকে জীবন দিতে হয়েছে, আমাদের অনেক ভাইয়েরা এখনও পঙ্গুত্ব বরণ করে অসহায় জীবন যাপন করছে।
আমিনুল হক বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব গত ১৭ বছর এই আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন আন্দোলন এবং গত জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে,বিএনপি নেতাকর্মীদের সাহসিকতার কারনেই বাংলাদেশ আজ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে,এই স্বাধীন দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে-দেশে আর যেন কোন স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।
তিনি বলেন, আমরা আজকে স্বাধীন এই বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারছি,স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি,স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছি, আমরা চাই এই মুক্ত আকাশে বাংলাদেশের মানুষ আর যেন কোন স্বৈরাচারের মুখোমুখি না হয়। এজন্য এদেশের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ ধরে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, বাংলাদেশে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে, ব্যাংকগুলো ডাকাতি ও লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার রূপরেখার মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ রাষ্ট্র যন্ত্রগুলোকে নতুন ভাবে গড়ে তুলার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন। কর্মশালায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক আফাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্মআহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সাবেক কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, ডা. একেএম কবির আহমেদ রিয়াজ, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, নুরুল হক ভূইয়া, তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আলহাজ মো. জামির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপন,মহানগর উত্তর মহিলাদল সদস্য সচিব রুনা লায়লা, কৃষক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আরশাদুল আরিস ডল, শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, ছাত্রদল মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু ছাড়াও উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা মো. আব্দুস ছালাম, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন শিশির, দক্ষিণ খান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন জমিদার, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক এমএ মনির হাসান ভূঁইয়া, আমিনুল হক, এসআই টুটুল, নজরুল ইসলাম খান,বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্মআহবাক মো. চান মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য রাশেদ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।