টিসিবির ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল, অসন্তোষ মান্নার

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না পেয়ে টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ এবং সারা দেশের ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এই সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা এবং দুবারের সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার।

গণমাধ্যমে পাঠনো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মান্না সরকারি এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী আমলে শুরু হওয়া নিত্যপণ্য দ্রব্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত কোটি কোটি মানুষের জীবন যাত্রাকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শতাধিক পণ্যে শুল্ককর বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, আগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে সুলভমূল্যে সবার জন্য পণ্য বিক্রি করত টিসিবি। ২০২২ সাল থেকে ট্রাক সেলের পরিবর্তে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ‘পরিবার কার্ড’ কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর আওতায় দেশে এক কোটি পরিবারের কাছে প্রতি মাসে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করে আসছিল টিসিবি।

তিনি আরও বলেন, পরিবার কার্ডের মাধ্যমে একজন ক্রেতা মাসে সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন, সরকারি সিদ্ধান্তে সারা দেশের ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করা হয়।

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গত অক্টোবর মাসে ট্রাকে করে তেল, ডাল ও চাল বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ফলে টিসিবির পরিবার কার্ড না থাকলেও প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। মাত্র দুই মাস সাত দিন চলার পরে এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে গত অক্টোবরে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এটিও সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের দেশের মানুষ উচ্চ পণ্যমূল্য এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে চাল, পেঁয়াজ, আলু, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করে টিসিবি। প্রতিটি ট্রাকে ৩৫০ জনের পণ্য থাকত। ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন। সরকারি এক সিদ্ধান্তে গত ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *