শ্যালিকাকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার হলেন বড় বোন, দুলাভাই পলাতক

image_80200.rapeকিশোরী শ্যালিকাকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় কিশোরীর বড়বোনকে আটক করা হয়েছে। দুলাভাই পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামে।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক ইউনুছ আলী বাদী হয়ে গত শনিবার এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ধর্ষক, তার স্ত্রী ও মাকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের মা ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও দেবহাটার কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হকের স্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (৪২) ও তাঁর পুত্রবধূ রানী খাতুন (২৭)।
মামলার বাদী দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক ইউনুছ আলী জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে তার ভগ্নিপতি দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর ঘোলের মোড়ের শাওন হোসেনের বাড়িতে থাকত। শাওন হোসেনের বাবা দেবহাটার কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। গত বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শাওন হোসেন তার বাগানবাড়িতে নিয়ে যায় শ্যালিকাকে। সেখানে মদপান করে শাওন ও তার কয়েকজন বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। একপর্যায়ে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে কিশোরীর মৃতদেহ তড়িঘড়ি করে রইচপুরে তার বাপের বাড়িতে এনে শুক্রবার বাদ জুম্মাবাদ দাফন করার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট লোকজনদের মাধ্যমে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে আফরোজা ও রানী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক শাওন পলাতক রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *