নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও সুফিয়ানের মধ্যকার কথোপকথনের সিডি দাবি করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পক্ষ থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা একটি অডিও সিডি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছেন। তবে ওই সিডিটি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের হাতে গত রাত ৯টা পর্যন্ত পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ উদ্দীন।
এদিকে সরবরাহকৃত অডিও সিডিটির ২৬ মিনিট ৮ সেকেন্ডের কথোপকথন শুনে বোঝা যায়, তিনের অধিক ব্যক্তির কথোপকথনের সঙ্গে রয়েছে হাই ভলিউমের মিউজিকের শব্দ। কথোপকথনের একটি অংশে এক ব্যক্তি অন্য একজনকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আসিম-নাসিম এহানে চলব না, নিজেগো বাঁচাইতে হইলে দুই-একটা বড় মানু খাইয়ালান। কি আর হইব ভিক্ষুক মারলেও ৩০২, একজন শীর্ষ নেত্রীর কথা উল্লেখ করে বলা হয় ‘তাকে মারলেও ৩০২। অন্য ব্যক্তিটি এর প্রতি-উত্তরে বলেন, বন্দর থানার ওসি কইছে সারা বাংলাদেশের ভিতরে সবচেয়ে বড় লাইসেন্সধারী অস্ত্রধারী হোসেন ভাই। উত্তরে প্রথম ব্যক্তিটি বলেন, বাংলাদেশে ৩২টি শটগান আসছে। এর মধ্যে আমি ১৬টি নিয়া ফালাইছি। দুজনের কথোপকথনে অংশ নিয়ে তৃতীয় একজন বলেন, আচ্ছা সেলিম ভাই, নাসিম ও শামীম ওসমানের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কে? উত্তরে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে অপরজন বলছিলেন তারা দুজনই …। একজন শিক্ষিত… অন্যজন অশিক্ষিত…। সেলিম ওসমান ভালো লোক। নাসিম ও শামীমের ছবি নামাইয়া ফালাইছি। কার ছবি লাগাইছত? এমন প্রশ্নের উত্তরে একজন বলছিলেন, কেন? ভাইয়ের ছবি লাগাইছি। অডিও সিডির বরাত দিয়ে গতকাল বিকালে রাইফেল ক্লাবে সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিজেও জানতাম নূর হোসেন আমার লোক। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় নূর হোসেনের কথোপকথন শুনে এখন আমি জানতে পেরেছি সে আমার লোক না। সে আমার মৃত ভাই ও আমার মাকে গালাগাল করেছে। এমনকি আমাদের পরিবারের সদস্যদের ফেলে দেওয়ার কথা বলেছে। সবচেয়ে অবাক হয়েছি ওই মদের আসরে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আইভীর ঘনিষ্ঠ কর্মী সুফিয়ান। তাদের আলোচনায় আমাদের এতটা জঘন্যভাবে গালাগাল করা হয় তা ভাষায় বলতে পারব না।
অডিও সিডির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের জনসভায় দেওয়া শামীম ওসমানের বক্তব্য থেকে তারা সিডির বিষয়ে অবহিত হয়েছেন। সিডির কপি গত রাত ৯টা পর্যন্ত তাদের হাতে পৌঁছেনি। তবে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।