আজ রাতে ঢাকায় অভিযান

image_80263_0হত্যা, গুম ও অপহরণের ঘটনায় সারা দেশে দুই-এক দিনের মধ্যে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (সোমবার) রাতে রাজধানী ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা রয়েছে।

অভিযানের সময়সীমা নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রাত ১২টা থেকে পরদিন বেলা ১১টা পর্য ন্ত অভিযান পরিচালিত হবে। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বসানো হবে।

সোমবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র নতুন বার্তা ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

বৈঠকের পর শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যা বের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সাত অপহরণ ও খুনের ঘটনার ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একটি সংস্থার ভালো কাজ দু-একজনের কারণে ম্লান হতে পারে না। তবে তদন্তে যে-ই দোষী হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”

শিল্পমন্ত্রী বলেন, “অনেকে অনেক অভিযোগ করতে পারে। আমরা সব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। র্যা ব ইতিমধ্যে ওই বিষয় নিয়ে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।”

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা র্যা ব বন্ধ করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় যেসব ঘটনা ঘটছে, তারা সেসব নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। এ দেশের বিষয়ে আমরা দেখব।”

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার তদন্তের বিষয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সঠিক তথ্য উদ্ধার করা হবে। যথাযথ বিচারের মাধ্যমে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। তদন্তকাজ চলছে। সঠিক তথ্য উদ্ধার হলেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। তদন্ত অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।”

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, “অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধমূলক কাজে লিপ্ত তারা। তারা তো গুপ্ত হত্যার হুমকি আগেই দিয়েছে।”

শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ইয়াবাসহ মাদক ও মাদকসংক্রান্ত অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তে মাদক রুট হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতেও সংশ্লিষ্ট মহলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদ, বিজিবির মহাপরিচালকসহ এনএসআই, ডিজিএফআই, সিআইডি ও এসবির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *