‘দু’একটা সাংবাদিকের গলা কেটে ফেললে কিছুই হবে না’

imডেস্ক রিপোর্ট: শিবির ধুয়া তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই দফা সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ রেখে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, দুই একটা সাংবাদিকের গলা কেটে ফেললে কিছুই হবে না। এটা আমার কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া আছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও ভিসির সভাকক্ষে এ হামলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় সমাজবিজ্ঞানের অস্টম ব্যাচের ছাত্র রাসেলকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবির সন্দেহে ধরে প্রক্টর ড.অশোক কুমার সাহার কাছে নিয়ে আসে।

এ সময় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শরীফুল ইসলাম প্রক্টরকে জানান, সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির বিচরণ করছে। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা এ কথার প্রতিবাদ করলে শরীফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মাহবুবকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের পেটানোর নির্দেশ দেন। প্রক্টরের সামনেই মাহবুবসহ সকল সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এসময় আহত হন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মুমতাজি, সমকালের এসএম আল আমিন, বাংলানিউজের ইমরান, নয়াদিগন্তের সুজাউল ইসলাম, সকালের খবরের তানভীর ও কালের কণ্ঠের জসিম রেজা। পরে সাংবাদিক কর্মীরা ছাত্রলীগের হাঁত থেকে বাঁচতে ভিসি লাউঞ্জে অবস্থান নিলে সেখানেও তারা হামলা চালায়। এসময় ছাত্রলীগকর্মীরা মারধর ও চর থাপ্পর মারেন সাংবাদিকদের। ভিসির নিকট অভিযোগ দেওয়ার সময় তাদের দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

ভিসি অধ্যাপক মিজানুর রহমান ফোন করে ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুলকে সরে যেতে বলার পর সাংবাদিকেরা অবরুধহ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়। এই বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, আজকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত তাই আগামীকাল সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ রশীদের নিকট এই বিষয় অবহিত ও সাধারণ ডায়েরি করেছে সাংবাদিকেরা। আহত কয়েকজন সাংবাদিক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *