নারায়ণগঞ্জ অপহরণের পর যে ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে এ ঘটনা যেন অন্যদিকে প্রবাহিত না হয়, এজন্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মনোযোগ দেয়ার কথা বলব। আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমান বলেছেনÑ এই হত্যাকা-ের সঙ্গে আমার দলের কর্মী জড়িত আছে। এটি তদন্ত ও প্রমাণ করা হোক। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কর্মী কেন আমার সন্তান যদি জড়িত থাকে তাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করুক, এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। অন্যায় যে করে সে অন্যায়কারী। সন্ত্রাসীর সঙ্গে আমি কখনো আপোষ করব না।
সোমবার এসএটিভির সাক্ষাৎকারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এসব কথা বলেন।
মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কেউ যদি শামীম ওসমানের অনুসারী না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। ’৯৩ সালে তিনি নিজের লোকজনকে দিয়ে দোকান ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। ’৯৬ সালে সাবেক যুবলীগের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। যখনি তিনি ও তার কর্মী বিপদে পরে তখনি তিনি বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেন।
নূর হোসেনের কথা উল্লেখ করে সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, নূর হোসেন যদি শামীম ওসমানের কর্মী নাই হতো তাহলে যেদিন নজরুল অপহরণ হয়েছে সেদিন তিনি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রায়ফেল ক্লাবে কেন বসে ছিলেন? তিনি নিজেই গণমাধ্যমের সামনে এসেছেন। কিন্তু নূর হোসেনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হতে দিল না। কর্মীকার? কে তার কাছ থেকে অর্থ নিত? কে নূর হোসেনকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে রামরাজত্ব কায়েম করেছে? এই বিষয়গুলো নারায়ণগঞ্জ বাসিসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে।
তিনি আরো বলেন, অডিও দেখিয়ে, বিভিন্ন ধরনের কথা বলে রাতারাতি কাউকে আরেক জনের কর্মী বানানো যাবে না। আমার কোনো কর্মী বা কিলার বাহিনী নেই। আমি কাউকে পালন করি না। বরং আমি শামীম ওসমানের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাব। এটি আমাকে কেউ থামাতে পাড়বে না। তিনি নারায়ণগঞ্জে বহু অন্যায় হোতা।