এ মাসও কাটবে খরায়

rainless-150x150এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। চলতি মে মাসটিও কাটবে খরায় কবলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস ।

আরো জানায়, এপ্রিলের ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও ১০ এপ্রিলের পর থেকে দেশের প্রায় সর্বত্রই শুরু হয় শুষ্ক আবহাওয়া।

বাতাসে জলীয় বাষ্প ছিল না বললেই চলে। একই সাথে দেশব্যাপী শুরু হয় মৃদু থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ। এপ্রিলের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়।

২৪ এপ্রিল যশোরে উঠেছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। তবে ২৭ এপ্রিল থেকে কালবৈশাখীর কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করে। রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল।

আবহাওয়ার অফিসের প্রদর্শিত এ বৃষ্টিপাতের সাথে অবশ্য প্রকৃত বৃষ্টিপাতের কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ সেন্টারের করা রেকর্ডটাই দেখানো হয় বলে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জানান।

এর বাইরে অন্য কোথাও বৃষ্টি হলেও তা রেকর্ডে আনা হয় না। ঢাকার আগারগাঁও আবহাওয়া অফিসে বৃষ্টি না হলেও দেখা যায় মতিঝিল ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তা সত্ত্বেও আবহাওয়া অফিস তাদের রিপোর্টে কোনো বৃষ্টি হয়নি বলে রেকর্ড করে থাকে। দেশের অন্যান্য স্থানে এরকমই হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন আবহাওয়াবিদ।

চলতি মে মাসও খরায় কাটতে পারে বলে মাসব্যাপী পূর্বাভাসে গতকাল রোববার জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রবিবার বিকেলে ৩টায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত বৈঠকে জানানো হয়, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।

তবে এ মাসে একটি নিম্নচাপ হতে পারে বঙ্গোপসাগরে এবং এটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। কালবৈশাখীর পাশাপাশি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো স্থানে এ মাসেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *