যাদের কথা বলার সময় বা নিঃশ্বাসে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়, তারা নিম্নের কাজ গুলোর মাধ্যমে তা দুর করতে পারেন।
আপনার নাকের যত্ন নিন:
ভাবছেন দুর্গন্ধ হয় মুখে, এর সাথে নাকের যত্নের কি সম্পর্ক? নাক এবং সাইনাসের বিভিন্ন ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। নাক পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা কমে যাবে। কিন্তু যদি না কমে তবে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে আপনার।
ডেন্টিস্ট দেখান নিয়মিত:
বেশিদিন ধরে মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে এবং কিছুতেই তা দূর করতে পারছেন না, এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে। কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলো মুখের ভেতরে স্থায়ী প্লাক তৈরি করে এবং তা আপনি নিজে হাজার চেষ্টা করলেও ওঠাতে পারবেন না। এগুলো থেকে বাজে গন্ধ তৈরি হতে পারে এবং ডেন্টিস্টের সহায়তা নিয়ে এগুলো থেকে মুক্ত হতে হবে আপনার।
খাদ্য নির্বাচন করুন ভেবে চিন্তে:
কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন জাতীয় খাবারে মুখে গন্ধ হয়। কিন্তু এই খাবারের অবশিষ্টাংশ মুখে জমে থাকার কারণে শুধু নয়। রসুনের থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ আমাদের রক্তে চলে যায় এবং আমাদের ফুসফুসে এসে নিঃশ্বাসে খারাপ গন্ধ তৈরি করে। তার মানে এসব খাবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলেও খুব একটা লাভ হয় না। মিন্ট অথবা মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন অথবা এসব খাওয়া কমিয়ে দিন।
টনসিলে পাথর:
টনসিল চিন্তা করলেই মনে হয় গলার ভেতরে দুইটা মাংসের বল। কিন্তু এরা মোটেও বলের মতো মসৃণ গলাকার নয়, বরং করল্লা বা কাঁকরোলের মতো কাঁটা-কাঁটা। এগুলোর ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকে অজস্র ব্যাকটেরিয়া। মাঝে মাঝে এসব ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তখন এসব তৈরি করে টনসিলের পাথর। Waterpik নামের একটা যন্ত্র দিয়ে এই পাথর সরিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু টনসিল বড় হলে এবং বার বার পাথর হতে থাকলে টনসিল অপারেশন করে সরিয়ে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই পাথরের উপস্থিতির কারণে প্রচুর দুর্গন্ধময় গ্যাসের সৃষ্টি হয় মুখগহ্বরে।
পাকস্থলীর যত্ন নিন:
ওপরে বর্ণিত কোনও উপায়েই যদি আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ না কমে তবে বুঝতে হবে আপনার পাকস্থলিতে কোনও সমস্যা আছে। এসিড রিফ্লাক্সের কারণে অনেক সময় খাদ্যবস্তু এবং পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড আমাদের গলার কাছে চলে আসে এবং এ থেকে নিঃশ্বাসে গন্ধ হয়। এ ছাড়াও পাকস্থলীর অন্যান্য সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। এমন অবস্থায় ডাক্তার দেখানোটাই ভালো বুদ্ধি।