কুষ্টিয়ায় অপহরণের সময় আবদুল মতিন (১৬) নামের এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনগণ। আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থানীয় জনগণ সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামে অপহরণকারীদের গাড়ি ধাওয়া করে মতিনকে উদ্ধার করে। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে মতিনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে তিন অপহরণকারী আবদুল মতিনকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনাটি স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে নাজিরপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। তাত্ক্ষণিকভাবে পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা ওয়ারলেসের মাধ্যমে পুরো জেলার পুলিশের কাছে অপহরণের খবর পৌঁছে দেন। এ সময় অপহরণকারীরা মাইক্রোবাসে করে কুষ্টিয়া শহরের দিকে যাচ্ছিল। নাজিরপুর পুলিশ ক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা ওই গাড়িটির পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে। গাড়িটি কবুরহাট এলাকায় পৌঁছালে গাড়ির গতিবিধি দেখে স্থানীয় লোকজন গাড়িটিকে আটক করে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় জনতা তিন অপহরণকারীকে ব্যাপক গণপিটুনি দেয় এবং তারা আবদুল মতিনকে উদ্ধার করে। এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গণপিটুনির শিকার তিন অপহরণকারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীদের আঘাতে আহত আবদুল মতিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি আরো বলেন, আগুনে পোড়া গাড়িটি ঘটনাস্থলে পড়ে আছে।