ডেস্ক রিপোর্ট : এবার দু’নেত্রীকে পরিহার করার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ লক্ষ্যে নতুন দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। নাম ঠিক করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স সংক্ষেপে বিএনএ। আজ বিকাল তিনটায় প্রেস ক্লাবে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারাসহ বেশ কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা নতুন এ দলে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেন নাজমুল হুদা। সঙ্গে থাকছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন কর্নেল ও মেজর র্যাঙ্কের অফিসার। দু’সপ্তাহর মধ্যে দলের কমিটি গঠন করা হবে। আগামী বছরের ৭ই জানুয়ারি হবে দলের প্রথম সম্মেলন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিএনএ তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এগুলো হচ্ছে- মানবাধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু রাজনীতির ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও দলীয়করণ নির্মূল করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গঠন। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গতকাল মানবজমিনকে বলেন,বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বা বিএনএফ-এর পরিবর্তে বিএনএ গঠন করা হচ্ছে। মূলত ন্যাশনালিস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এটাকে আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ অর্থে বিএনএকে নতুন দল বলা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, আপাতত সারা দেশে মানবাধিকারের যেসব কমিটি রয়েছে তাদের সক্রিয় করার মধ্য দিয়ে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর আগে বিএনএফ গঠন করেছিলেন বিএনপির সাবেক এ নেতা। তখন নানা ধরনের প্রতিকূলতার শিকার হয়েছিলেন। তবে এবার নতুন দল গঠনে কোন ধরনের প্রতিকূলতা দেখছেন না বলে জানান তিনি। বলেন, বিএনএ বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতির সঙ্গে থাকবে না। দলের মধ্যে পূর্ণ গণতন্ত্র চর্চা করা হবে। সবার সঙ্গে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে রাজনীতি করা হবে। এজন্য নিজের শত্রু খুব কম হবে বলে মনে করেন তিনি। দুই নেত্রী প্রসঙ্গে নাজমুল হুদা বলেন, দুই নেত্রীকে এক করার প্রয়াস শেষ হয়েছে। আমি মনে করি এখন দুই নেত্রীকে পরিহার করার পর্যায় এসেছে। তিনি বলেন, এক সময় মনে হয়েছিল- দেশের ১৬ কোটি মানুষ দুই নেত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে জিম্মি। তারা এক হলে হয়তো পরিত্রাণ পাওয়া যেতো। কিন্তু তাদের মধ্যে সে বোধ নেই। একে অপরকে কোন ধরনের সহযোগিতা করার মানসিকতা নেই। অপহরণ হলেও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমানে যে সহিংস ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চলছে এ থেকে জনগণ মুখ ফেরাতে চায়। তাদের জন্য আমার এ দল আশ্রয়স্থল হবে বলে মনে করি। নাজমুল হুদা বলেন, দেশে সুস্থ রাজনীতি হওয়া দরকার। এজন্য কাউকে না কাউকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমি সেই উদ্যোগ শুরু করতে যাচ্ছি। দলটি মনে করছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে না। তাই এটাকে টার্গেট সময় বলে মনে করছে বিএনএ। এর মধ্যে সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত করে দেশের প্রতিটি আসন থেকে নির্বাচনের লক্ষ্য রয়েছে দলটির। এজন্য সবার আগে রাজধানীতে দলের শক্ত ঘাঁটি গড়তে চায় বিএনএ। বিএনএফ থেকে সরে আসার পর নাজমুল হুদা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, বিশেষ বাহিনীর প্ররোচনায় বিএনএফ গঠন করা হয়েছিল। বিএনএ গঠনেও সে ধরনের কোন প্ররোচণা রয়েছে কিনা প্রশ্নে নাজমুল হুদা বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাই আমার মুল লক্ষ্য। তাই কারও প্ররোচণার প্রয়োজন হচ্ছে না। মানবজমিন