1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
অর্থ লেনদেনের তদন্ত শুরুঃ সন্দেহে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা ও মন্ত্রীপুত্র - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী

অর্থ লেনদেনের তদন্ত শুরুঃ সন্দেহে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা ও মন্ত্রীপুত্র

  • Update Time : বুধবার, ৭ মে, ২০১৪
  • ৩৫৯ Time View

1_4125নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত অপহরণ ও খুনের নেপথ্যে ছয় কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগটির তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রধান সন্দেহভাজন ও টাকা গ্রহীতা হিসেবে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা, প্রভাবশালী একজন মন্ত্রীপুত্র ও নূর হোসেনকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে টাকা লেনদেনের তদন্ত কার্যক্রম। তবে পর্যায়ক্রমিকভাবে র‌্যাব কর্মকর্তাদের স্ত্রী ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা হিসাব নম্বর তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে চাঞ্চল্যকর ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না’ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর সন্দেহভাজন সবার দিকেই গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছেন তারা। অন্যদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার সন্দেহভাজনদের অন্যতম, মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গ্রেফতারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গাফিলতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সীমান্তসহ সব কটি বন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অথচ নূর হোসেনকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তাহলে নূর হোসেন কি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, অপরাধ বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান কার্জন জানান, সরকার আন্তরিক হলে নূর হোসেন গ্রেফতারে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করলেই সবকিছু স্পষ্ট হওয়ার কথা। তিনি আরও বলেন, গুটিকয় কর্মকর্তার জন্য র‌্যাবের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ আমি সমর্থন করি না। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাব এখন পর্যন্ত জঙ্গি দমনসহ অনেক ভালো কাজ করেছে। তবে এটা ঠিক, গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, তদন্তসাপেক্ষে তাদের ব্যাপারে বিভাগীয় এবং কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এতে অন্য কোনো র‌্যাব সদস্য অনৈতিক কাজ করতে সাহস করবে না।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার গোলাম মুহিদ দাবি করেছেন, নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সম্ভাব্য সব স্থানে ইউনিফর্ম পরা ও সাদা পোশাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন। আসামিদের গ্রেফতারে তাদের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই। এদিকে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তদন্তসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী, শ্বশুর, ভাই ও ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা।

নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, প্রশাসনের লোকজন জড়িত না থাকলে নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের পক্ষে এত বড় ঘটনা ঘটানো সম্ভব হতো না। নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা গ্রেফতার না হলে সিদ্ধিরগঞ্জে কেউ নিরাপদ নয়। তবে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা কর?া হবে বলে নতুন পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি নজরুল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এসপি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বিউটি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশ পাওয়ার পর দুই দিন হুমকি এসেছিল। এখন হুমকি না এলেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দিয়েছি। মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ওদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি।’

নজরুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নেই। সবাই জানেন আমার স্বামীকে কারা হত্যা করেছে। এ হত্যা নিয়ে একেকজন কথা বলছেন। এসব বলে হত্যাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করবেন না।’

শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার অভিযোগগুলো লিখিতভাবে জমা দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত হলে সবকিছু বের হয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রতিদিন মোবাইল ফোনে হুমকি পাই। ওই নম্বরগুলো দেখা যায় না। হেরা কয়, র‌্যাব নিয়ে কথা বললে পরিবারের আরও লোকরে কিন্তু হারাইবি। তোরে ক্রসফায়ারে নিমু।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিআইজিরে (গোলাম ফারুক খান) কইছি, এখনো ফতুল্লার ওসি আক্তার ও সিদ্ধিরগঞ্জের ওসি আবদুল মতিনরে থানায় দেখতাছি। হেরা প্রত্যাহার হওয়ার পরও থাকে কীভাবে? তারা তো অভিযানের আগেই খবর দিয়া দেয়। তাদের এ মুহূর্তে প্রত্যাহার করেন।’ তিনি বলেন, ‘৬৫-৭০ বছর বয়স আমার। খুবই শঙ্কার মধ্যে আছি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন অপেক্ষায় আছি কখন আমাকে গুম করে লাশ ফেলে দেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছয় থেকে সাত জনের হিসাব থেকে ছয় কোটি টাকা পরিশোধ করা হইছে। শনিরআখাড়া যমুনা ব্যাংকের শাখা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিমরাইল শাখার দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেছে। যারা নূর হোসেনের হয়ে টাকা দিছে তারা হইল- হাসমত হাসু (আমার আপন ভাই), বাদল শাহজালাল, আইভীর ঘনিষ্ঠ লোক ঠিকাদার ক্যাডার সুফিয়ান ও ইকবালসহ ছয়-সাত জন।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন নূর হোসেনের কথায় চলত। নূর হোসেন তার অবৈধ যাত্রা, মেলা, ফেনসিডিল, হেরোইন, নারী ব্যবসা, চুনা ফ্যাক্টরি, অটোরিকশা ও কাঁচপুরে বাস থেকে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকা আয় করত। এর থাইক্যা সে প্রশাসনের লোকেরে টাকা দিত। তার বাড়িতে পুলিশ গেলে আগে জানাইতে হইত কোন পুলিশ সদস্য? এরপর হে পছন্দ হইলে দেখা করত।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কত টাকার মালিক বলে নূর হোসেনকে এতগুলো অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলো। সেই অস্ত্র দিয়েই তো সে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারা দেশে দাপট দেখিয়েছে। এর আগে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের ক্যাডার ইকবাল টাকা দিয়ে নজরুলেরে নিয়া গেছিল। তখন শামীম ওসমান তারে ছাড়াইয়া আনছিল। এইবার অপহরণের পরপর নূর হোসেনকে ক্লাবে ডাইকা কইছিল- তুই নজরুলকে ফিরাইয়া দে। তহন নূর হোসেন শামীম ওসমানকে চোখ রাঙাইছিল।’

দেশেই নূর হোসেন?

‘আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সেভেন মার্ডার মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা তদন্তে বেশ কিছু দূর এগিয়েছি, তবে তা যথেষ্ট নয়। যতদূর এগিয়েছি তার আলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে। বর্তমানে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমরা এগোচ্ছি।’

নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের অগ্রগতির জন্য লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো কতটুকু ব্যবহার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি। এ ছাড়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন দাবি করেছেন, প্রভাবশালী মন্ত্রীপুত্রের সঙ্গে নূর হোসেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। র‌্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে মন্ত্রীপুত্রই নূর হোসেনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীপুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নূর হোসেনের অবস্থান জানা সম্ভব।

রবিবার র‌্যাব কার্যালয় ঘেরাও, আজ প্রতীকী অনশন : আইনজীবী চন্দনকুমারসহ সাত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী রবিবার র‌্যাব-১১-এর কার্যালয় ঘেরাও এবং আজ নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে জেলা বার ভবনের সামনে এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে কর্মবিরতি পালন ও সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মামু ভাগনের কবলে সেভেন মার্ডার মামলা! : চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডার মামলাটি মামু-ভাগনের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আউয়াল মামলার প্রধান আসামি পলাতক নূর হোসেনকে ‘মামা’ বলে সম্বোধন করতেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে নূর হোসেনের কার্যালয়ে ডিবির এ কর্মকর্তার অবাধ যাতায়াতের খবর সিদ্ধিরগঞ্জের প্রায় সবারই জানা। বিশেষ এলাকার অধিবাসী হওয়ায় তার অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করতেন পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খুব হতাশাজনক। নূর হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তার সম্পর্ক এলাকার সবাই জানে। এমন একজনকে দিয়ে তদন্ত কাজ চালানো ঠিক হবে কি না তা আলোচনা করবেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, পরিদর্শক আউয়ালকে চাঁদা না দেওয়ার পর তার হুমকিতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান সিদ্ধিরগঞ্জের তেল ব্যবসায়ী রহিম বাদশা। এ ছাড়া সোনারগাঁয়ের ফোর মার্ডার, ডিবির কনস্টেবল মফিজ হত্যাকাণ্ড, সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের তাণ্ডবে বিজিবি হত্যা মামলার তদন্তভার ন্যস্ত ছিল ডিবির এই কর্মকর্তার ওপর। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এসব মামলায় বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এমনকি চাঞ্চল্যকর ত্বকি হত্যায় রিফাত বিন ওসমানকে আটকের পর এই কর্মকর্তা প্রায় নয় দিন তাকে ডিবি অফিসে আটক রেখে নির্মম নির্যাতন করেছেন। ত্বকি হত্যায় একটি পক্ষের হয়ে কাজ করে অন্য পক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিফাতকে তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পেটান ও মুখ দিয়ে পিস্তলের নল ভরে দেন। নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়ে রিফাত বিন ওসমান এক পর্যায়ে আদালতে গারদ ঘরে এসে গোপনে সাংবাদিকদের অডিও রেকর্ড দিয়ে দেন। সে রেকর্ডটি এখনো সংরক্ষিত আছে।

এ ছাড়া সেভেন মার্ডারের শিকার নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুলের পার্টনার নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই রিপন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ডিবি কর্মকর্তা আউয়াল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গোদনাইলের তেল ব্যবসায়ী রহিম বাদশাকে ডিবির কনস্টেবল মফিজ হত্যায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ টাকা দিতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রহিম বাদশা মারা যান।

গতকাল ফের মোবাইল ফোনে এ কথা জানিয়ে মৃত রহিম বাদশার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘ডিবির দারোগা আউয়ালের কারণে আজ আমি বিধবা।’

অপেক্ষায় আছি কখন আমাকে গুম করে লাশ ফেলে দেওয়া হবে : ‘খুবই শঙ্কার মধ্যে আছি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন অপেক্ষায় আছি কখন আমাকে গুম করে লাশ ফেলে দেওয়া হবে।’ গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিস থেকে সেভেন মার্ডারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে একান্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথাগুলো বলেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন মোবাইল ফোনে হুমকি পাই। তবে কোনো নম্বর দেখা যায় না। বলে, র‌্যাব নিয়ে কথা বললে পরিবারের আরও লোকরে কিন্তু হারাইবি। তোরে ক্রসফায়ারে নিমু।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিআইজিরে (গোলাম ফারুক খান) বলছি, এখনো ফতুল্লার ওসি আক্তার ও সিদ্ধিরগঞ্জের ওসি আবদুল মতিনরে থানায় দেখতাছি। হেরা প্রত্যাহার হওয়ার পরও থাকে কীভাবে? তারা তো অভিযানের আগে খবর দিয়ে দেয়। তাদের এ মুহূর্তে প্রত্যাহার করেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুটি হিসাব থেকে টাকা গিয়েছে। শনিরআখড়া যমুনা ব্যাংক শাখা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিমরাইল শাখা। যারা নূর হোসেনের হয়ে টাকা দিয়েছেন তারা হলেন হাসমত হাসু (আমার আপন ভাই), বাদল শাহজালাল, আইভীর ঘনিষ্ঠ লোক ঠিকাদার ক্যাডার সুফিয়ান ও ইকবালসহ ছয়-সাত জন।’

তিনি বলেন, ‘এমপি শামীম ওসমান র‌্যাবের সিওকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন নজরুলদের ফিরিয়ে দিন। র‌্যাবের সিও এমপির সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে। এর আগে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের ক্যাডার ইকবাল টাকা দিয়ে নজরুলরে নিয়া গেছিল। তখন শামীম ওসমান র‌্যাব-৩ থেকে ছাড়ায়।’ তিনি বলেন, ‘র‌্যাব নূর হোসেনের কথায় চলত। কারণ নূর হোসেনের নেতৃত্বে তার অবৈধ যাত্রা, মেলা, ফেনসিডিল, হেরোইন, নারী ব্যবসা, চুনা ফ্যাক্টরি, অটোরিকশা ও কাঁচপুরে বাস থেকে দৈনিক ৬০০ টাকা চাঁদা আদায়সহ প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকা তার আয় ছিল। এ থেকে সে র‌্যাব ও প্রশাসনের লোককে টাকা দিত। র‌্যাবের লোকজন নূর হোসেনকে বড় ভাই চেয়ারম্যান বলে ডাকত।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কত টাকা আর কত ক্ষমতাবান হলে আড়াইহাজারে শামীম ওসমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভামঞ্চে থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু নূর হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় তার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কত টাকার মালিক বলে তাকে এতগুলো অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলো। সেই অস্ত্র দিয়েই তো সে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারা দেশে দাপট দেখিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, মুন্সীগঞ্জে মৃণালকান্তির নির্বাচনে নূর হোসেনের লোক গিয়ে নির্বাচন করে। সেখানে গুলিতে মারা যান এক চেয়ারম্যান। ওই চেয়ারম্যানকে কারা মারছে তা সবাই জানে।’

তিনি বলেন, ‘অপহরণের ঘটনার সাথে সাথে শামীম ওসমান নূর হোসেনকে ক্লাবে ডেকে বলেছিল- নূর হোসেন তুই নজরুলকে ফিরিয়ে দে। তখন নূর হোসেন শামীম ওসমানের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে।’বা প্র

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com