পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন উপপরিদর্শকসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য জখম হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইটি তাজা বোমা ও একটি রাম দা উদ্ধার করেছে। নিহত জামায়াত নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ঠেকরা গ্রামের আদম আলী ওরফে আহম্মদ আলীর ছেলে এবং কুশুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারন সম্পাদক। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপপরিদর্শক মহসিন আলী তরফদার, সিপাহী শরিফুল ইসলাম , আব্দুল জব্বার, কামাল হোসেন ও আবদুল আহাদ।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান জানান, বুধবার ভোর চারটার দিকে ৩০/৩৫ জন জামায়াত নেতা কর্মী ভদ্রখালি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে নাশকতা সৃষ্টির জন্য গোপন মিটিং করছিল। খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় তারা পুলিশের উপর ৫/৬ রাউন্ড বোমা ও চার পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা আট রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে জামায়ত শিবিরের নেতা কর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আশরাফুল ইসলামকে বুকে গুলিবদ্ধি অবস্থায় উদ্ধার করে। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে এক উপপরিদর্শকসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইটি অবিষ্ফোরিত বোমা ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে। তিনি আরো জানান, জামায়াত নেতা আশরাফুল ইসলাম সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলার পলাতক আসামী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পালিয়ে ছিলেন। এদিকে নিহতের বোন নাছিমা আক্তার জানান, তার ভাই উপজেলার সাদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইনটেনডেণ্ট। পুলিশ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তুলে নিয়ে যায়। আজ বুধবার ভোরে পুলিশ তাকে ক্রসফায়ারের নামে বুকে গুলি করে হত্যা করেছে।