সিপিএম যতই মোদি বিরোধিতা নামুক না কেন, তাদের আদর্শের চীন কিন্তু মোদিপন্থী৷ কারণ এবারের বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী সঙ্গে আগামিদিনে চীনের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে৷চীনের একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, মোদি প্রধানমন্ত্রী চীন ভারত আরও কাছাকাছি আসবে৷একইসঙ্গে সংবাদ পত্রে বলা হয়েছে মোদির জয় হতাশ করবে অ্যামেরিকাকে ৷ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস মতে, মোদি ক্ষমতায় আসার পরে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ছিলেন৷তাছাড়া চীনের বহু সংস্থা গুজরাতে লগ্নি করেছে৷ তাই উনি প্রধানমন্ত্রী হলে দু’দেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়বে৷
‘সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিস’য়ের কৌশল বিশ্লেষক লিও জোংগির লেখাটিতে বলা হয়েছে মোদির জয় সুস্বাদু হবে না অ্যামেরিকা সহ গোটা পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে৷কারণ ২০০২ সালে দাঙ্গার জন্য তাকে দায়ী করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ অন্যদিকে মোদি অরুনাচল প্রদেশে ভোট প্রচারে গিয়ে চীনের আগ্রাসন নিয়ে বিরোধিতা করলেও তা নিয়ে কোনো বিশেষ কোনো মন্তব্য যেতে চাননি৷বিষয়টি পশ্চিমি সংবাদ মাধ্যমের প্রতারণা বলেই এড়াতে চেয়েছেন৷
এদিকে কংগ্রেস বিজেপির উভয়ইকেই শত্রু বলললেও একান্ত প্রয়োজনে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত৷ কারণ বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকেই বেশি শত্রু বলেই বার্তা দিয়েছেন৷ সিপিএম এদেশের চীনপন্থী কমিউনিস্ট বলে পরিচিত৷ সেখানে মোদি সম্পর্কে চীনের সংবাদ পত্রে এমন লেখা অব্শ্য সিপিএমের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনীতির কারবারীরা৷- ওয়েবসাইট।