নারায়ণগঞ্জ জেলা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারসহ সাত খুনের ঘটনায় ভাগাভাগি হওয়া টাকা শালা-দুলা ভাইয়ের পকেটে বলে দাবি করেছেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আজ বেলা দেড়টায় আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এ কর্মসূচির অয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পূর্ব ঘোষিত সাত দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ ছিলো এটি।
এ খুনের সঙ্গে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পরিবার জড়িত বলে দাবি করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, মায়ার মেয়ের জামাই র্যাব কর্মকর্তা ও ছেলে দিপু চৌধুরীর পকেটে এই ৬ কোটি টাকা আছে। তিনি বলেন, দিপু চৌধুরী দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। কাজেই এ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করলেই সব রহস্য উত্ঘাটন হবে।
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দেশের আইন দিয়ে দেশকে বাঁচানোর চষ্টো করুন। আপনার কাছে এ দেশের জনগণ অনেক কিছু আশা করে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যে তিনজন র্যাবকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা লোক দেখানো। তাদের বহিষ্কার করা হয়নি বরং পুরস্কার দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ র্যাবের এই কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। বিচারের ব্যবস্থা করুন, জনগণ শান্তি পাবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, গোলাম মোহাম্মাদ আলাল, আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।