আদালতের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা এবং ৯ মন্ত্রী। পদত্যাগের আগে বর্তমান মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী নিবাতুমরং বুনসংপাইসানকে অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছে থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা।
বুধবার ইংলাককে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত। জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে সরানোর ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় আদালত এই আদেশ দেয়।
গত কয়েকমাস ধরে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে আদালত এই আদেশ দেয়। বিরোধীরা ২০০৩ সাল থেকেই ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে।
এ নিয়ে ইংলাক সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাতও হয়েছে। ‘লাল-শার্ট’ বিক্ষোভকারী হিসেবে পরিচিত ইংলাক সমর্থকদের গ্রামাঞ্চলে শক্ত অবস্থান রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান থাবিল প্লিয়েনস্রিকে সরিয়ে নিজের এক আত্মীয়কে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে ইংলাক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে রায়ে বলা হয়। বর্তমান বিরোধী দলের শাসনামলে ২০১১ সালে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
কয়েকজন থাই সিনেটর ইংলাকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে তাকে বরখাস্ত করার আবেদন করার পর আদালত এ রায় দিল।
অবশ্য জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে সরনোর সিদ্ধান্তে তার দল উপকৃত হয়েছে মঙ্গলবার আদালতে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ইংলাক।
এদিকে, পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নোপাদ্দম পাত্তামা বলেছেন, মন্ত্রিসভার বাদবাকী সদস্যরা নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন।
থাইল্যান্ডে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচন আদালতের রায়ে বাতিল হওয়ার পর এ মাসের শুরুর দিকে ক্ষমতাসীন দল নতুন করে জুলাইয়ে সাধারণ নির্বাচন ডেকেছে।
পাত্তামা বলেন, ‘থাই জনগণ যাতে তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে সেজন্য সবারই এখন আসন্ন এ নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’ আরব নিউজ