পাবনার সাঁথিয়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে স্কুলের ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার করমজা ইউনিয়নের মহিষাকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ (৫৫) বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব ও অশালীন কথা বলে আসছিলেন। লোকলজ্জার ভয়ে ছাত্রীরা বিষয়টি চেপে রেখেছিলেন। অবশেষে বাধ্য হয়েই ছাত্রীরা গত ৫ মে শিক্ষকের অশালীন আচরণের কথা অভিভাবকদের জানায়।
মহিষাকোলা গ্রামের মমিন হোসেন ও রতন সরকার জানান, শিক্ষকদের এমন অশালীন কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা ক্ষুব্ধ এবং লজ্জিত। অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের ওই স্কুলে পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমি স্কুল পরিদর্শন করে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। শারীরিক কোনো লাঞ্ছনার বিষয় অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের ভাল আচরণ না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুম মুনিরা বলেন, শিক্ষকের যৌন হয়রানির ঘটনা সম্পর্কে অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ফারুক হোসেন জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং স্কুলের তালা খুলে দিয়েছে।
যৌন হয়রানিতে ঘটনার স্বীকার এক স্কুলছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।