গর্বের শেষ নেই পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নিয়ে আমাদের। কক্সবাজারে তাই দেশি ও বিদেশি পর্যটক টানতে চায়। অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হলেও যে কেউ এই ডিজিটাল বাংলাদেশে কক্সবাজারে পা রেখেই প্রথম মুসিবতটি টের পান ইন্টারনেট লাইন না পেয়ে।
এমনিতে রাজনৈতিক সহিংসতা, যাতায়াতের নাকাল দশা, বিনোদন স্থানের অভাব আর যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় পর্যটক পাচ্ছে না কক্সবাজারের হোটেল ব্যবসায়ীরাও। তারপর কেউ সেখানে গেলে ইন্টারনেট সংযোগ না পেয়ে তার মনটাই খারাপ হয়ে যাবার দশা সৃষ্টি হয়।
শিক্ষমন্ত্রাণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপি শিক্ষক সম্মেলনে অংশ গ্রহণে ঢাকা থেকে আমরা ২০জন সাংবাদিক কক্সবাজারে যাই। অনাবিল সুন্দরতম সম্ভাবনাপূর্ণ এই স্থানে সু-পরিকল্পনার অভাবে বেড়ানোর মজাটাই দূর হয়ে যায়।
সরকার যখন ডিজিটাল দেশ গড়তে প্রত্যয়, তখন কক্সবাজারের মত স্থানে মোবাইল নেট ও মডেম নেটওয়ার্কের স্বল্পতায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার উপক্রম। কক্সবাজার ভ্রমণে যেয়ে সাংবাদিকরা ঢাকায় নিউজ পাঠানোর সময় বিপদ টের পান। শিক্ষক সম্মেলনের সংবাদ পাঠাতে নেটওয়ার্কের নাজুক অবস্থায় অফিসে সংবাদ পাঠাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বারবার চেষ্টার পর সংযোগ পাওয়া সম্ভব হলেও হটাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নেট সংযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বিশ্বের সুন্দরতম কক্সবাজারের সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। যাতায়াতের অব্যবস্থা, মোবাইল নেটের সমস্যা আর বিনোদনমূলক স্থানের অভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক যে আশা নিয়ে আসেন তা পূরণ হয় না। বরং বিরক্ত হয়ে তারা যান ফিরে। নেট সংযোগ না থাকায় ব্যসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সমুদ্র সৈকতে সূর্য ডুবে যাওয়ার সময় ছবি তুলে অনেকে সৈকত থেকেই প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে চান। নেট সংযোগ ঠিকমত না পাওয়ায় তার আনন্দে ভরা মন নিমিষেই বিরক্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কক্সবাজারের অনেক বাসিন্দাই বলেছেন, অন্তত মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে নেট সংযোগ গতি বৃদ্ধি করতে বাধ্যতামূলকভাবে শর্ত আরোপ করা প্রয়োজন।
আমাদের সময়