ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য আগের মতোই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংরক্ষিত থাকবে। ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে না।
আজ ব্যক্তির পরিচিতি নম্বর ও ভোটার নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ সংক্রান্ত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান।
গত জানুয়ারি মাসে ভোটার নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশের পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক যুক্তি দেখিয়েছিলেন। এর আলোকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনার পর কমিশনে প্রস্তাব উত্থাপনের সুপারিশ করেন।
সূত্র জানায়, কমিশন বৈঠকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় এই প্রস্তাবের ব্যাপারে বেশিরভাগ সদস্য বলেন, ব্যক্তির পরিচিতি নম্বর ও ভোটার নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেলে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকবে না। অপরাধীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এমনকি ভোটাররা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ ছাড়া এনআইডি আইনের সঙ্গেও এটি সাংঘর্ষিক। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ি কমিশনে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত গোপনীয় বলে বিবেচিত।
বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর প্রস্তাবক নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক নিজের প্রস্তাবটি অবশেষে প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ইসির তথ্য ভাণ্ডার থেকে ভোটারের আরো তিনটি ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে আবেদন জানানো হয়। এর আগে ২০১২ সালের চুক্তির আলোকে তথ্যভাণ্ডার থেকে যেকোনো ভোটারের ছয় ধরনের তথ্য দেখতে পেতেন। বর্তমানে নতুন তিনটি তথ্য দেখার আবেদন জানালে কমিশন তা অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য তিনটি হচ্ছে, ভোটারের বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ও পেশা।
বিবি ও এনবিআরের মতো জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ের জন্য তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার চেয়ে আবেদন করেছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), সামরিক প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুরেলটরি কমিশন (বিটিআরসি), পরিসংখ্যান ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প, সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।
এসব আবেদনও বিবেচনায় রেখে তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সূত্র জানায়।
এ ছাড়া আগামী ১২ জুন বরিশাল সদর উপনির্বাচনে এসএমএস বার্তার মাধ্যমে স্বউদ্যোগে কমিশন ভোটারদের ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানাবে।