পুলিশ র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা। রোববার বিবিসি সংলাপে এমনই মত দেন তারা। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার প্রযোজন হয়ে পড়েছে। আর বিএনপির একজন নেতা বলেছেন র্যাবের কার্যক্রমে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা দরকার। রোববার বিবিসি সংলাপে এইসব কথা বলেন তারা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা ক্রেষ্টের স্বর্ণে ভেজাল মোশানোর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সামা ওবায়েদ বলেন, র্যাবের কার্যক্রমে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। র্যাবের সবকিছুর উর্দ্ধে থাকা উচিত না। এটার সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সরকার যদি কোন প্রসাশনের কোন একটি এজেন্সিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করে তাহলে তারা মাথায় উঠে যায়। যেখানে আমরা রাস্তায় বের হতে ভয় পাই সেখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজেই বলেন যে গুম খুন কমে গেছে। এর অর্থ অপহরন, গুম, খুন এগুলোকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবু সাইদ আল মোহাম্মদ স্বপন বলেন, অন্যায় করলে সরকার কাউকেই ছাড়বে না। শুধু র্যাব নয় সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেই সংস্কার প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, যখন প্রচলিত ব্যাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা যাচ্ছিল না। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব হচ্ছিল না তখন পুলিশের একটি স্পেশাল ব্যাটালিয়ান হিসেবে র্যাবের উৎপত্তি হয়েছে। নারায়নগঞ্জের ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে র্যাব বা বিশেষ বাহিনীর প্রয়োজন কোনদিনই ছিল না। র্যাবের কি দরকার? পুলিশের যে সমস্ত ঘাটতি ছিল তা পূরন করেই কি পরিস্থিতি উত্তোরন করতে পারতাম না?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশফাক কায়সার বলেন, ক্রসফায়ার সহ এধরনের ঘটনাগুলো স্বীকার করে এখনই ব্যাবস্থা নেয়া উচিত। সংস্কারের প্রয়োজন অনেক আগেই উপলব্ধি করা গেছে। বিশেষ করে ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডগুলো ঘটার পর প্রশ্ন উঠেছিল তারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজ করছে। তারা সমাজের দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে এক ধরনের অমানবিক কাজ করছে। আমার ধারনা নারায়নগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনা আমাদের চোখ উম্মোচন করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করা ছাড়া বস্তুত এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহন করছে না যা আমাদেরকে আস্বস্ত করবে।
স্বাধীনতার সম্মাননা পদকের স্বর্ণে ভেজাল মেশানোর বিষয়ে আবু সাইদ আল মোহাম্মদ বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। এর তদন্ত হচ্ছে এবং এর সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই ঘটনা লজ্জাস্কর ও নিন্দনীয় । আর বিএনপি নেতা সামা ওবায়েদ বলেন, সমাজের সর্বস্তযে যে দূর্নীতি ছরিয়ে পড়েছে স্বর্ণে ভেজাল মেশানোর বিষয়টি তারই অংশ মাত্র। এ ঘটনা সারা পৃথিবীতে আমাদের দেশকে ছোট করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করেছে। বিবিসি