নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে। চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালসহ তিনজন আজ রোববার রিট আবেদনটি করেন। রিটে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের একজন বর্তমান বিচারপতির নেতৃত্ব ওই কমিশন গঠনের আরজি জানানো হয়েছে। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে। চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালসহ তিনজন রিট আবেদনটি করেন। আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে লিংক রোড ধরে ঢাকায় যাওয়ার পথে অপহূত হন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং তাঁর চার সহযোগী। প্রায় একই সময়ে একই সড়ক থেকে গাড়িচালকসহ অপহূত হন আইনজীবী চন্দন সরকার। তিন দিন পর গত ৩০ এপ্রিল একে একে ছয়জনের এবং পরদিন ১ মে আরেকজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ৪ মে র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, নজরুলসহ অন্যদের র্যাব তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এ জন্য আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের কমিটি গত বৃহস্পতিবার কাজ শুরু করেছে। ওই দিন দুপুরে তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জে আসে এবং পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গতকাল শনিবার নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সাক্ষ্য নিয়েছে কমিটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি ১২ ও ১৫ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি করবে। সকাল ১০টায় ওই গণশুনানি শুরু হবে।