১৩ মে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি জনাব নাসরিন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফজলে হোসেন বাদশা এম.পি, জনাব শিরীন আখতার এম.পি,।
প্রধান অতিথি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার – মাননীয় মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় , তিনি বলেন ১১ দফা দাবীগুলো ২ ধাপ কিছু আর্থিক, কিছু মর্যাদার, দাবীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও সমব্যতীত। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবেদনশীল বলে জানান। তিনি শিক্ষকদের জন্য সব সময় দরদী। তিনি বলেন প্রাথমিক শিক্ষার মনোন্নয়নের অংশ হিসাবে রেজিঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। মন্ত্রী জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে শিক্ষকদের মর্যাদা দেওয়া দরকার। দাবী দাওয়াগুলো কয়েকবার আমার কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সকল দাবী যৌক্তিক বলে মনে করেন। সকল দাবী দাওয়া নিয়ে সরকারের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছি। তিনি বলেন জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মনোনয়নের সকল কার্যক্রম হাতে নেয়নি। সুযোগযোগী শিক্ষার জন্য সরকার সদা সচেষ্ট। বিশ্ব মন্দার মধ্যে প্রতি বছর প্রাইমারীকে শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন কোন আন্দোলন সংগ্রাম বৃথা হয়নি। দাবী যখন আসল তখন কিছু একটা হবে এটুকু আশ্বাস দেন। সবশেষে মন্ত্রী বলেন সকল দাবী প্রয়োজনীয় সকল সেক্টরে জানানো হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন। প্রয়োজনে শিক্ষকদের সহযোগিতা আহ্বান করা হবে। বর্তমান সরকার এ দেশকে শুধু এগিয়ে নিতে চায়। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অধিকতর দায়িত্বশীল। সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। মন্ত্রী শিক্ষকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানা। মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকল শিক্ষককে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন প্রাথমিক শিক্ষায় বিপ্লব ঘটাতে হবে। সে বিপ্লবে সবাইকে অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা করার আহ্বান জানান। দুনীর্তি মুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন মানবিক পেশা শিক্ষকতা। তিনি বলেন ক্লাস করে ও আন্দোলন অনশন করবে – এ ঘোষণাকে স্বাগত জানান। এ সরকার শিক্ষক বান্ধব সরকার। শিক্ষকদের অমর্যাদা করে কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। ব্যক্তিগত দাবী মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। সংসদে দাবী উত্থানের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। ১১ দফাগুলো বিবেচনা করার আহ্বান। দাবী সংসদে উত্থাপনের প্রতিশ্র“তি দেন।
অপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিরিন আক্তার এমপি সহকারী শিক্ষকদের সকল দাবীর প্রতি একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন শিক্ষককে মর্যাদা দেওয়া মানে জাতিকে মর্যাদা দেওয়া। তিনি বলে ২ টা ঋণ শোধ করা যাবে না। একটি পিতামাতা অপরটি শিক্ষকদের। মর্যাদার শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ধৈর্য্য ধরতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন। তিনি বলেন বেতন বৈষম্য ও পদমর্যাদা বৈষম্য দূরীকরণসহ সহকারি শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। সহকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়ার জন্য তিনি পূর্বের সমিতিগুলোর তথা কথিত নেতাদের দায়ি করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সমিতির আহবায়ক নাসরিন সুলতানা-তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য। শিক্ষকদের মর্যাদা চান। জাতি গঠনের কারিগত হিসাবে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত। কলেজে সকল শিক্ষক একই পদ মর্যাদা। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিভিশন করা হলো। নন ভেকেশন উবঢ়ধৎঃসবহঃ ঘোষণা করে অর্জিত ছুটি প্রদান এবং পূর্ণগড় বেতন প্রদান।
অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ন আহবায়ক জনাব নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক সাবেরা বেগম, আব্দুল হালিম, আবু দাউদ, রফিকুল ইসমলাম মাছুম, আব্দুল বাতেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোঃ ইব্রাহীম খলিল, রমজান আলী, হারুনর রশিদ, দিলীপ ত্রিপুরা, মাসুদ পারভেজ, আবু নাসের, আব্দুল লতিফ, প্রমথেশ দত্ত, আব্দুল কাদের, রমজান আলী স্বাধীন, , মনির হোসেন জাকির হোসেন, এনামুল হক, মোঃ মহসিন, হাবিবুর রহমান, নাসির উদ্দিন দুলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পাপ্পু সাহা ও আরেফা বেগম।