ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে এসিআই সল্ট লিসিটেডের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বাংলদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এই জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য নথি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তারা তাদের গ্রাহক ’উর্মি ফ্যাশন গ্যালারির (হিসাব নং-১৫০১ ২০২০ ৮৮২১ ৩০০১) পক্ষে চারটি চেক জালিয়াতি করে।
ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এইচএসবি ব্যাংকের গ্রাহক ‘এসিআই সল্ট লিমিটেডের ’ (হিসাব নং-০০১ ১৪২৩৪৮ ০১১) এর চারটি চেক নং-০৩৫৪২৯৭,তাং-০৩/০৬/২০১৩,টাকার পরিমাণ ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫০ টাকা, চেক নং-০৩৫৪২৯৮,তাং-২৭/৫/২০১৩ টাকার পরিমাণ ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫০ টাকা, চেক নং-০৩৫৪২৯৯ তাং-০২/০৬/২০১৩ টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫০ টাকা , চেক নং-০৩৫৪৩০০ তাং-০৫/০৬/২০১৩ টাকার পরিমাণ ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০ টাকা সরিয়ে নিতে সহায়তা করেন।
অর্থাৎ মোট এক কোটি ৪৬ লাক ৯৮ হাজার ২০০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে এসিআই সল্টের এ্যাকাউন্টে থেকে কেটে নিয়ে উর্মি ফ্যাশন গ্যালারির একাউন্টে জমা দেখিয়েছে। পরে ওই চারটি নকল চেক সৃজন করেন এবং ব্র্যাক ব্যাংকে ডিজিটাল (ইউবিএ) মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষায় সঠিক ঘোষণা দিয়ে টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দেন।
বাংলদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনটি নিয়ে কাজ করছে দুদক। ইতিমধ্যে দুদক কর্তৃপক্ষ ওই চেক জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ১৪ ধারায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালত গত ১১ মে এক আদেশে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে ৫৫ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৬ টাকা আর উত্তোলন করতে পারছে না জানা যায়।