দীর্ঘ এক যুগ ধরে লঞ্চে রোটেশন প্রথার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকির কারণে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার এই প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েও লঞ্চ মালিকদের প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। প্রশাসনের আদেশ, এমনকি আদালতের রায়ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা।
পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে প্রতিদিন চলার কথা পাঁচটি দোতলা লঞ্চ। কিন্তু কোনোদিন চলে দুইটি, কোনোদিন আবার একটি। বেশি নৌযান চলছে যাত্রী ভাগাভাগি হয়ে যাবে, তাই লঞ্চ মালিকরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে এই পদ্ধতি চালু করেছেন।
বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকাল যখন নদী থাকে উত্তাল তখনও অতিরিক্ত যাত্রী নিশ্চিত করতে এভাবেই রোটেশন প্রথা চালু রাখ লঞ্চ মালিকরা। এভাবে যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালতও। কিন্তু দুই বছরেও আদালতের রায় বাস্তবায়ন হয়নি। উপায়ান্ত না দেখ ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় যাত্রীদের।
লঞ্চগুলোতে যে কেবল অতিরিক্ত যাত্রী উঠে না না, তোলা হয় বিপুল পরিমাণ মালামালও। এতে ঝুঁকি বাড়ে আরও। রোটেশন প্রথা ঝুঁকি অজানা নয় বিআইডব্লিউটিএরও। কিন্তু কিছুই করে না তারা। কোনো সমাধান দিতে পারলেন না নৌ মন্ত্রীও। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাহলে সরকারের কি কিছুই করার নেই- এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি নৌমন্ত্রী। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি